ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

যারা এই ধরণের অপসংস্কৃতির সাথে জড়িত এবং যারা ক্ষমতার নামে জুলুম করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম: অনিল গজার

নবম ও দশম শ্রেনির বইয়ে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

রাবি প্রতিনিধি:


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এনসিটিবি কর্তৃক নবম-দশম শ্রেনির বাংলা ২য় পত্র বইয়ের পেছনে প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বোলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি ও রুয়েট আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে উঠে আসে পাহাড়ে সেনা শাসন, আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য, আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও উপজাতি বলে সম্বোধন ও ঢাকায় আদিবাসীদের উপর হামলারর ঘটনা। একইসাথে তারা সেখানে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন, ১.পাহাড়ি ও সমতলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ২. এনসিটিবি কর্তৃক আদিবাসী সম্বোলিত যে গ্রাফিতি বাতিল করা হয়েছে তা পুনর্বহাল করতে হবে, ৩. আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪. যারা আদিবাসীদের উপর হামলা ও নির্যাতন করছে তাদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এসে সাজা দিতে হবে।

আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিল গজার বলেন, যারা উদ্রবাদী ও মোওলবাদী তারা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। আরে ভাই আমরা  কেউ বাঙালী নই। পূর্বপুরুষ কি বাঙালী ছিল ? ৭১ এর পর না এই ঠিকানা এসেছে। যারা এই ধরণের অপসংস্কৃতির সাথে জড়িত এবং যারা ক্ষমতার নামে জুলুম করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। এবং পাঠ্য বইয়ে আদিবাসী গ্রাাফিতি সরানোর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রাবি আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় কুমার ওঁরাও বলেন, এনসিটিবি বইয়ে আদিবাসী শব্দ সম্বোলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে সচিবালয়ে যাত্রাকালে উগ্রবাদী সংগঠন কর্তৃক আদিবাসীরা হামলার শিকার হয়। বাংলাদেশ একটি বৈষম্যমূলক দেশ এইটা আমরা সবাই জানি। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা সকলকে সুন্দরভাবে ও সুষ্ঠুভাবে সম্বোধন করতে কিন্তু কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তার নিজস্ব ব্যক্তিস্বার্থে এর বিরোধিতা করে আসছে।

রুয়েটের শিক্ষার্থী বিনয় কুমার চাকমা বলেন, আদিবাসী শব্দটি নতুন একটি টার্ম অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবে যে সাতটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া আছে সাতটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই আমরা পরি বলে আমরা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করি। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও উপজাতি বলে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। ঢাকায় আদিবাসীদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

মানববন্ধনের সঞ্চালক বলেন, আমরা পাহাড় এবং সমতল থেকে বৈষম্যহীন সরকার ও বাংলাদেশে গঠনের কথা বলি। কিন্তু আমরা যখনই আমাদের অধিকারের বিষয়ে দাবী তুলতে যাই তখনই উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশে পঞ্চাশটিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী যখন তারা তাদের অধিকারের লড়াই করে তখনই তাদেরকে ভারতের দালাল সহ আরো অন্যান্য ট্যাগ এর শিকার হতে হয়।

উল্লেখ্য, রাবি ও রয়েট আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক মানববন্ধন পরবর্তী মিছিল বের হয় এবং সেখান থেকে স্লোগান আসে “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে দিতে হবে” “তুমি কে আমি কে আমি কে আদিবাসী আদিবাসী”
“আদিবাসিদের উপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই” “পাহাড় থেকে সমতলে লড়াই হবে এক তালে।”


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যারা এই ধরণের অপসংস্কৃতির সাথে জড়িত এবং যারা ক্ষমতার নামে জুলুম করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম: অনিল গজার

নবম ও দশম শ্রেনির বইয়ে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

রাবি প্রতিনিধি:


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এনসিটিবি কর্তৃক নবম-দশম শ্রেনির বাংলা ২য় পত্র বইয়ের পেছনে প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বোলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি ও রুয়েট আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে উঠে আসে পাহাড়ে সেনা শাসন, আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য, আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও উপজাতি বলে সম্বোধন ও ঢাকায় আদিবাসীদের উপর হামলারর ঘটনা। একইসাথে তারা সেখানে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন, ১.পাহাড়ি ও সমতলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ২. এনসিটিবি কর্তৃক আদিবাসী সম্বোলিত যে গ্রাফিতি বাতিল করা হয়েছে তা পুনর্বহাল করতে হবে, ৩. আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪. যারা আদিবাসীদের উপর হামলা ও নির্যাতন করছে তাদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এসে সাজা দিতে হবে।

আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিল গজার বলেন, যারা উদ্রবাদী ও মোওলবাদী তারা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। আরে ভাই আমরা  কেউ বাঙালী নই। পূর্বপুরুষ কি বাঙালী ছিল ? ৭১ এর পর না এই ঠিকানা এসেছে। যারা এই ধরণের অপসংস্কৃতির সাথে জড়িত এবং যারা ক্ষমতার নামে জুলুম করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। এবং পাঠ্য বইয়ে আদিবাসী গ্রাাফিতি সরানোর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রাবি আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় কুমার ওঁরাও বলেন, এনসিটিবি বইয়ে আদিবাসী শব্দ সম্বোলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে সচিবালয়ে যাত্রাকালে উগ্রবাদী সংগঠন কর্তৃক আদিবাসীরা হামলার শিকার হয়। বাংলাদেশ একটি বৈষম্যমূলক দেশ এইটা আমরা সবাই জানি। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা সকলকে সুন্দরভাবে ও সুষ্ঠুভাবে সম্বোধন করতে কিন্তু কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তার নিজস্ব ব্যক্তিস্বার্থে এর বিরোধিতা করে আসছে।

রুয়েটের শিক্ষার্থী বিনয় কুমার চাকমা বলেন, আদিবাসী শব্দটি নতুন একটি টার্ম অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবে যে সাতটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া আছে সাতটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই আমরা পরি বলে আমরা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করি। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও উপজাতি বলে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। ঢাকায় আদিবাসীদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

মানববন্ধনের সঞ্চালক বলেন, আমরা পাহাড় এবং সমতল থেকে বৈষম্যহীন সরকার ও বাংলাদেশে গঠনের কথা বলি। কিন্তু আমরা যখনই আমাদের অধিকারের বিষয়ে দাবী তুলতে যাই তখনই উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশে পঞ্চাশটিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী যখন তারা তাদের অধিকারের লড়াই করে তখনই তাদেরকে ভারতের দালাল সহ আরো অন্যান্য ট্যাগ এর শিকার হতে হয়।

উল্লেখ্য, রাবি ও রয়েট আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক মানববন্ধন পরবর্তী মিছিল বের হয় এবং সেখান থেকে স্লোগান আসে “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে দিতে হবে” “তুমি কে আমি কে আমি কে আদিবাসী আদিবাসী”
“আদিবাসিদের উপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই” “পাহাড় থেকে সমতলে লড়াই হবে এক তালে।”


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি