ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নদীতে ঝাঁপ তরুণীর, পরে লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


অভিমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পিউ কর্মকারের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ পাননি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ।

পিউয়ের চাচি জানান, বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরেনি পিউ। এরপর ফেসবুকে পিউর পোস্ট দেখতে পেয়ে স্বজনরা শহরের গোদারবাজার ও সোনাকান্দর ঘাট এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাবা-মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নানি।’ পোস্টের শেষের দিকে হতাশার কথা উল্লেখ করে পিউ লেখেন, ‘সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কত ফ্রেন্ড, কত কিছু। কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই…হয়তো আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না। …আমার মৃত্যুর জন্য আমার বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই।’ পোস্টের শেষে সবার কাছে ক্ষমা চান এই তরুণী।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার ধারনা।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নদীতে ঝাঁপ তরুণীর, পরে লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


অভিমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পিউ কর্মকারের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ পাননি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ।

পিউয়ের চাচি জানান, বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরেনি পিউ। এরপর ফেসবুকে পিউর পোস্ট দেখতে পেয়ে স্বজনরা শহরের গোদারবাজার ও সোনাকান্দর ঘাট এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাবা-মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নানি।’ পোস্টের শেষের দিকে হতাশার কথা উল্লেখ করে পিউ লেখেন, ‘সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কত ফ্রেন্ড, কত কিছু। কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই…হয়তো আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না। …আমার মৃত্যুর জন্য আমার বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই।’ পোস্টের শেষে সবার কাছে ক্ষমা চান এই তরুণী।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার ধারনা।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি