ষষ্ঠ দিনের ঈদযাত্রা যেন রুপ নিয়েছে মরণ ফাঁদে
- আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে মানুষ মাটির টানে ঘরে ফিরছেন। যাত্রাপথে কার্যত মানুষের ঢল নেমেছে। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানেই মানুষ বাড়ি ছুটছেন। এ অবস্থায় রেলপথে ঈদযাত্রার সেই চিরচেনা চিত্র দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন। ঈদ সামনে রেখে এই শেষ সময়ে প্লাটফর্মে ট্রেন থামতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। সোমবার ট্রেনে ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিনে বিশৃঙ্খলা রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এদিন উৎসাহে ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা যায় অনেককেই। রেল কর্তৃপক্ষের শত নিষেধাজ্ঞার পরও নিচে আসন না পেয়ে ছাদে চড়েই বাড়ির পথে রওনা দেন অনেকে।
এবার ঈদে ছাদে ও টিকিট ছাড়া ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করে টানা পাঁচদিন পর্যন্ত সফল ছিল রেলওয়ে ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। কিন্তু ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিনের বিকেলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয় তারা। সোমবার রাতে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে কমলাপুর রেলস্টেশনে কড়াকড়ি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর বগিতে তিল ধারণের ক্ষমতা না থাকায় যাত্রীদের ছাদে উঠতে দেখা যায়। যদিও আগে থেকেই স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার গণমাধ্যমকে বলে আসছিলেন, এবার ছাদে উঠার কোনো সুযোগ নেই।
একই কথা বলেছিলেন ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম। তবে আশঙ্কা ছিল সোমবার যখন যাত্রীর চাপ লাগামহীন হয়ে যাবে তখন রেলের এই কড়াকড়িতেও কোনো কাজ হবে না। স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, শেষ সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। গার্মেন্টস ছুটি হওয়াতে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল। আমরা যতদূর পেরেছি চেষ্টা করেছি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, কমলাপুর স্টেশনে কড়াকড়ি হলেও বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রীদের বিশৃঙ্খলা অবস্থা আছে। অনেকে টিকিট কেটে নিজের আসনে বসতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপ পেইজে রাজু মাস্তান নামে এক ব্যবহারকারী ছাদে যাত্রী বোঝায় ট্রেনের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, আমি রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেসে, পাশে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের এই অবস্থা (ছাদে মানুষ ওঠা বিষয়ে)।
প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি