তানোরে ব্র্যাকের নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক,গজায়নি ৩০বিঘা জমির আলু
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে ব্র্যাকের আলু বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক। ৩০ বিঘা জমিতে গজায়নি আলুর গাছ। ফলে নিঃস্ব হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন প্রতারণার শিকার কৃষক মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম। জানা গেছে, উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের গাগরন্দ গ্রামের আলু চাষী কৃষক মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারের কর্মকার হার্ডওয়ারের মালিক আলু ব্যবসায়ী সুভাষের কাছে থেকে ব্র্যাকের সার্টিফাই (ডায়মন) আলুর বীজ কিনে ৩২ বিঘা জমিতে রোপণ করেন।
কিন্তু আলু রোপণের প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও জমিতে আলুর গাছ বের হয়নি। আর দুইএকটা গাছ বের হলেও গোড়ার আলু পঁচে যাওয়ায় গাছ দুর্বল হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। এতে করে কৃষকের মাঝে অভিযোগ উঠেছে, আলু ব্যবসায়ী সুভাষ কর্মকার ব্র্যাকের বীজ আলু বলে খাওয়ার আলু বিক্রি করেছে। যার জন্য এসব আলুর গাছ বের হয়নি। মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলামের সাথে প্রতারণা করে তাদের ব্র্যাকের বীজ বলে খাওয়ার ভাউতি আলু দেয়া হয়েছে।
শুধু মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম না তাদের মতো অনেক কৃষককের ব্র্যাকের আলু বীজ বলে খাওয়ার ভাউতি আলু বিক্রি করেছে আলু ব্যবসায়ীরা।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলামের আলুর জমিতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। তাদের জমির মাঝে মাঝে কিছু কিছু করে আলুর গাছ উঠেছে। তবে যে গাছ গুলো উঠেছে তার গোড়াতে আলুর বীজ পঁচে ও গাছ (কুকড়ি ) হয়ে গেছে। যার জন্য সেই জমিতে পূর্ণরায় নতুন ভাবে আলু রোপন করছেন মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
ব্র্যাকের বীজ আলু কিনে প্রতারণার শিকার প্রসিদ্ধ আলু চাষী মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম জানান,আমরা বর্তমানে চরম হতাশ হয়ে পড়েছি,প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে ব্যাপক দু’শ্চিন্তার মধ্যে।
লাখ লাখ টাকা লোন করে আমরা আলু চাষ করেছি, আমাদের এই আলুর প্রজেক্টে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমরা ক্ষতি পূরণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মিজানুর রহমান ও রবিউল ইসলাম প্রতারিত হয়েছেন বলে আলুর বীজ ব্যবসায়ী সুবাষের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকালের দিকে অফিসে এসে অভিযোগ করে গেছে। অফিস খুললে রবিবার সরেজমিনে গিয়ে আলুর জমি দেখা হবে।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি