কপ-২৮ সম্মেলনের আলোচ্য ‘তহবিল’
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় তিন দশকে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার। অথচ উন্নত রাষ্ট্রগুলো প্রতিশ্রুতির কোনো অর্থই বরাদ্দ দিচ্ছে না। জলবায়ু গবেষকরা বলছেন, এবারের জলবায়ু সম্মেলনে তহবিলের উৎস, যোগান ও বণ্টন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে আলোচনা করতে হবে। দুবাইতে ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কপ-২৮ সম্মেলন।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট। বঙ্গোপসাগরের এই ব-দ্বীপের উপকূল সবচেয়ে সংকটে। এখানে প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতি হচ্ছে জান-মালের। সাগরের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নোনা পানির বিস্তারে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট।
দেশের উত্তর পূর্বের হাওর এলাকায় বাড়ছে বালু বন্যা। উজানের ঢলের সঙ্গে আসা বালুতে ডুবে যাচ্ছে লোকালয় ও আবাদি জমি। আর পদ্মা-যমুনা অববাহিকা ও বরেন্দ্র এলাকায় বাড়ছে নদী ভাঙন ও চরাঞ্চল। পরিবেশ গবেষকরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা উদ্বাস্তু হয়ে ভিড় জমাচ্ছে নগরে। তাই উপকূল, চর, হাওর, বরেন্দ্র অঞ্চল ও নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের দুরবস্থা জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থাপন জরুরি।
পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিটা শুধুমাত্র টাকার অঙ্কে চিন্তা করা যাবে না। ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে ইকোনমিক ও নন ইকোনমিক ক্ষতির বিষয়টা বিবেচনায় রাখতে হবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত বিশ বছরে অন্তত ১৮৫টি দুর্যোগের শিকার হয়েছে। এ হিসেবে জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজন হবে ২৩০ বিলিয়ন ডলার। গত বছর মিশরে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সন্মেলনে অর্থ বরাদ্দের জন্য “লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই তহবিলের আকার কেমন হবে, কোন উৎস থেকে অর্থের যোগান আসবে সেটাই এবারের মূল আলোচ্য।
জলবায়ু গবেষক ড. আতিক রহমান বলছেন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ অঙ্ক করে বের করা যায় বলে বৈজ্ঞানিকভাবে এর একটা ভিত্তি আছে। তবে গেল বছর ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, স্কটল্যান্ড এবং ইইউ প্রতীকী অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা এখনও কোনো বরাদ্দ দেয়নি।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি