ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

তানোরে টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে পচন রোগে দিশেহারা কৃষক

সারোয়ার হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহীর তানোরে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে পচন ধরায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অথচ কৃষকরা আমন ধানের রোগ বালাই নিয়ে মাঠে দেখা পাচ্ছেন না কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের। ফলে আমন ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তানোর উপজেলার আমন চাষীরা।

উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্টপুর,মাঝি পাড়া পাঁচন্দর ইউনিয়নের যশপুর, ইলামদহী মাঠ ও তানোর পৌর এলাকার ধানতৈর, গুবির পাড়া, তালন্দ নিচ পাড়া, গোকুল নিচ পাড়া আমন ধানের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে ধরেছে পচন রোগ ও পাতা পোড়া রোগ। কৃষকরা পচনের হাত থেকে আমন ধান রক্ষা করতে সকাল বিকেলে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

কামারগাঁ ইউনিয়নের পারশো দূর্গাপুর নাড়িপাাড়া গ্রামের কৃষক সাবেক মেম্বার বকুল হোসেন ও মোমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ৬ বিঘা আমন ধান বন্যায় ডুবে গেছে। আর যেসব জমিতে পানি উঠে আছে সেইসব জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিছুতেই কীটনাশক বিষ ব্যবহার করে দূর করা যাচ্ছে না পচন।

তারা আরো বলেন, এবার আমন চাষের মৌসুম থেকে কৃষকদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমে। গত বারের চাইতে এবছর আমন চাষের সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি,সেই সাথে সংকট পড়ে পটাশ সারের। তাঁর পরেও কৃষকেরা যেভাবেই হোক সার পটাশ পানি কিনে আমন ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে নতুন করে আকাশের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া একরের পর একর জমির আমন ধানে ধরেছে পচন। কিছুতেই দূর করা যাচ্ছেনা এ পচন রোগ। এমনকি মাঠেও পাওয়া যাচ্ছেনা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাদের। এতে পচন রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ছাড়াই বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক কিনে জমিতে স্প্রে করে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।

প্রতিনিয়ত পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পুড়ে যাচ্ছে ধানের পাতা। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। শ্রীখন্ডা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, আমন ধানে পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কৃষকের মাঝে কোন প্রকার পরামর্শ দিতে কৃষি অফিসের কোন উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছেন না কৃষকরা। যার কারণে কৃষকরা বাজার থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির নকল কীটনাশক বিষ জমিতে স্প্রে করে প্রতারিত হচ্ছেন। আমার দুই বিঘা জমিতে পচন রোগ ধরেছে,পচন রোধে প্রতিদিন কীটনাশক বিষ স্প্রে করছি,তার পরেও জমি থেকে পচন রোগ দূর করা যাচ্ছেনা।

বাধাইড় ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বলেন,বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল কীটনাশক বোঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে কৃষকের। বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম দিয়ে নকল কীটনাশক বিষ বিক্রি করে করা হচ্ছে কৃষকের সর্বনাশ।

এ বিষয়ে জানতে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরে টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে পচন রোগে দিশেহারা কৃষক

আপডেট সময় : ০৩:২৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহীর তানোরে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে পচন ধরায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অথচ কৃষকরা আমন ধানের রোগ বালাই নিয়ে মাঠে দেখা পাচ্ছেন না কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের। ফলে আমন ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তানোর উপজেলার আমন চাষীরা।

উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্টপুর,মাঝি পাড়া পাঁচন্দর ইউনিয়নের যশপুর, ইলামদহী মাঠ ও তানোর পৌর এলাকার ধানতৈর, গুবির পাড়া, তালন্দ নিচ পাড়া, গোকুল নিচ পাড়া আমন ধানের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া আমন ধানে ধরেছে পচন রোগ ও পাতা পোড়া রোগ। কৃষকরা পচনের হাত থেকে আমন ধান রক্ষা করতে সকাল বিকেলে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

কামারগাঁ ইউনিয়নের পারশো দূর্গাপুর নাড়িপাাড়া গ্রামের কৃষক সাবেক মেম্বার বকুল হোসেন ও মোমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ৬ বিঘা আমন ধান বন্যায় ডুবে গেছে। আর যেসব জমিতে পানি উঠে আছে সেইসব জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিছুতেই কীটনাশক বিষ ব্যবহার করে দূর করা যাচ্ছে না পচন।

তারা আরো বলেন, এবার আমন চাষের মৌসুম থেকে কৃষকদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমে। গত বারের চাইতে এবছর আমন চাষের সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি,সেই সাথে সংকট পড়ে পটাশ সারের। তাঁর পরেও কৃষকেরা যেভাবেই হোক সার পটাশ পানি কিনে আমন ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে নতুন করে আকাশের টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া একরের পর একর জমির আমন ধানে ধরেছে পচন। কিছুতেই দূর করা যাচ্ছেনা এ পচন রোগ। এমনকি মাঠেও পাওয়া যাচ্ছেনা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাদের। এতে পচন রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ছাড়াই বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক কিনে জমিতে স্প্রে করে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।

প্রতিনিয়ত পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পুড়ে যাচ্ছে ধানের পাতা। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। শ্রীখন্ডা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, আমন ধানে পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কৃষকের মাঝে কোন প্রকার পরামর্শ দিতে কৃষি অফিসের কোন উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছেন না কৃষকরা। যার কারণে কৃষকরা বাজার থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির নকল কীটনাশক বিষ জমিতে স্প্রে করে প্রতারিত হচ্ছেন। আমার দুই বিঘা জমিতে পচন রোগ ধরেছে,পচন রোধে প্রতিদিন কীটনাশক বিষ স্প্রে করছি,তার পরেও জমি থেকে পচন রোগ দূর করা যাচ্ছেনা।

বাধাইড় ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বলেন,বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল কীটনাশক বোঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে কৃষকের। বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম দিয়ে নকল কীটনাশক বিষ বিক্রি করে করা হচ্ছে কৃষকের সর্বনাশ।

এ বিষয়ে জানতে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি