ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে। সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তবে বর্তমানে জ্বর কিছুটা কমায় স্বস্তিবোধ করছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে নানা গুজব। ইতিবাচক নেতিবাচক নানা প্রচারণার পাশাপাশি আছে অনেক নেতাকর্মীর ক্ষোভও। তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আন্দোলনের গতি কেন বাড়ানো হচ্ছে না তা নিয়েও আছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় আট ঘণ্টা পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে ফের কেবিনে আনা হয়। তবে এখনো খালেদা জিয়ার অবস্থা স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

বুধবার সকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, জ্বর কিছুটা কমায় স্বস্তিবোধ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সিসিইউ থেকে কেবিনে কিছুটা ভালো আছেন। কয়েকটি টেস্টের রেজাল্ট আগের চেয়ে ভালো এসেছে। তবে বিএনপি প্রধান এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
এরআগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গত সোমবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের কিডনির জটিলতাও নতুন করে দেখা দিয়েছে। নানা সমস্যার কারণে শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। লিভার জটিলতার কারণে নানা সমস্যা বাড়ছে। এর ফলে অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে তার লিভার প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করা প্রয়োজন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, গত কয়েকদিনে খালেদা জিয়ার লিভারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি একদিকে লিভার জটিলতা, কিডনি, অন্যদিকে ডায়াবেটিসের বড় জটিলতায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া তার আর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের শ্বাসকষ্ট কমেছে।

অবস্থা ভালো বলার সুযোগ নেই। কিডনির ক্রিয়েটিনিন বর্ডার লাইনের কাছকাছি চলে গেছে। শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে খাবারে রুচি কমেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে পেট থেকে পানি বের করা হয়েছে। লিভার জটিলতার কারণে নানা সমস্যা বাড়ছে। এর ফলে অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকদের খুব সতর্কতার সঙ্গে ওষুধ দিতে হচ্ছে।

আরেকজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো নয়। সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে আবার অবনতি হচ্ছে। রক্তক্ষরণ না হলেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।

মাঝে মধ্যেই ইলেকট্ররাইল ইমব্যালেন্স হচ্ছে। লিভারের জটিলতা বেড়ে গেলে চিকিৎসা দিয়ে একটা পর্যায়ে যখন আনা সম্ভব হচ্ছে, তখন কিডনি বা হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। আবার সেই জটিলতা সামলাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খাবারও ঠিকমতো খেতে চাচ্ছেন না। রুচি কমে গেছে। খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। লিভারের মতো জটিল চিকিৎসায় অনেক ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তিনি বলেন, লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ, যার ফলে লিভার বা যকৃৎ তার স্বাভাবিক কাজগুলো যেমন বিপাক ক্রিয়া, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি করা, ওষুধ ও রাসায়নিকের শোষণ, খাদ্যের পুষ্টি উপাদানের প্রক্রিয়া করতে পারে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে আবার অবনতি হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে মাল্টিপুল ডিজিস সেন্টারে নেওয়ার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এ তথ্য তার মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর। তখন থেকে প্রায় দুই বছরে তার পরিপাকতন্ত্রে কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার অবস্থা গুরুতর। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। গুরুতর অবস্থা।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খালেদা জিয়ার অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিউজ ডেস্ক:


রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে। সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তবে বর্তমানে জ্বর কিছুটা কমায় স্বস্তিবোধ করছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে নানা গুজব। ইতিবাচক নেতিবাচক নানা প্রচারণার পাশাপাশি আছে অনেক নেতাকর্মীর ক্ষোভও। তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আন্দোলনের গতি কেন বাড়ানো হচ্ছে না তা নিয়েও আছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় আট ঘণ্টা পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে ফের কেবিনে আনা হয়। তবে এখনো খালেদা জিয়ার অবস্থা স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

বুধবার সকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, জ্বর কিছুটা কমায় স্বস্তিবোধ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সিসিইউ থেকে কেবিনে কিছুটা ভালো আছেন। কয়েকটি টেস্টের রেজাল্ট আগের চেয়ে ভালো এসেছে। তবে বিএনপি প্রধান এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
এরআগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গত সোমবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের কিডনির জটিলতাও নতুন করে দেখা দিয়েছে। নানা সমস্যার কারণে শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। লিভার জটিলতার কারণে নানা সমস্যা বাড়ছে। এর ফলে অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে তার লিভার প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করা প্রয়োজন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, গত কয়েকদিনে খালেদা জিয়ার লিভারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি একদিকে লিভার জটিলতা, কিডনি, অন্যদিকে ডায়াবেটিসের বড় জটিলতায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া তার আর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের শ্বাসকষ্ট কমেছে।

অবস্থা ভালো বলার সুযোগ নেই। কিডনির ক্রিয়েটিনিন বর্ডার লাইনের কাছকাছি চলে গেছে। শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে খাবারে রুচি কমেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে পেট থেকে পানি বের করা হয়েছে। লিভার জটিলতার কারণে নানা সমস্যা বাড়ছে। এর ফলে অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকদের খুব সতর্কতার সঙ্গে ওষুধ দিতে হচ্ছে।

আরেকজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো নয়। সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে আবার অবনতি হচ্ছে। রক্তক্ষরণ না হলেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।

মাঝে মধ্যেই ইলেকট্ররাইল ইমব্যালেন্স হচ্ছে। লিভারের জটিলতা বেড়ে গেলে চিকিৎসা দিয়ে একটা পর্যায়ে যখন আনা সম্ভব হচ্ছে, তখন কিডনি বা হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। আবার সেই জটিলতা সামলাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খাবারও ঠিকমতো খেতে চাচ্ছেন না। রুচি কমে গেছে। খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। লিভারের মতো জটিল চিকিৎসায় অনেক ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তিনি বলেন, লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ, যার ফলে লিভার বা যকৃৎ তার স্বাভাবিক কাজগুলো যেমন বিপাক ক্রিয়া, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি করা, ওষুধ ও রাসায়নিকের শোষণ, খাদ্যের পুষ্টি উপাদানের প্রক্রিয়া করতে পারে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সকালে একটু ভালো থাকলে, বিকালে আবার অবনতি হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে মাল্টিপুল ডিজিস সেন্টারে নেওয়ার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এ তথ্য তার মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর। তখন থেকে প্রায় দুই বছরে তার পরিপাকতন্ত্রে কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার অবস্থা গুরুতর। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। গুরুতর অবস্থা।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি