ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত

সারোয়ার হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের সিমানা প্রাচীর ও সেন্ট্রি পোষ্ট না থাকায় নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম চলছে।

এছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ,আবাসন সংকট, বাবুর্চি, টহলগাড়ী, চেয়ার, টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ও উপকরণের অভাবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের নিজস্ব কোন ভবন নেই, ভাড়াটিয়া ভবনে স্থাপনের পর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে কার্যক্রম। ঝুঁকিপুর্ণ নিরাপত্তা প্রাচীরের মধ্যে আটক অপরাধীদের পৃথক কক্ষ না থাকায় অনেকটা আশংকার মধ্য তাদের কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জনবহুল ও বিস্তীর্ণ এই উপজেলার আইনশৃংঋলা রক্ষার্থে বিগত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় একটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রথমে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভাড়াটিয়া দ্বিতল ভবনে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রর কার্যক্রম শুরু হয়।

পরবর্তীতে মুন্ডুমালা ডাকবাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ও পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) বিস্তীর্ণ এলাকার আইনশৃংঋলার উন্নতি, অপরাধ দমন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষন অসামাজিক কার্যক্রলাপ রোধে এবং থানা হতে দুরবর্তি দুর্গম পল্লী এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়।

থানা হতে দুরবর্তি এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি মুন্ডুমালা ডাকবাংলো দ্বিতল ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দ্বিতল ভবনের ৪টি কক্ষ একটি কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, অপর দুটি কক্ষে দু’জন কর্মকর্তা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাঁকি একটি কক্ষে পুলিশ সদস্যদের এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ও ঘোরাফেরা করে কর্তব্য পালন করতে হয়।

তাছাড়া সেবা প্রার্থীদের নিদ্রিষ্ট কোনো বসার জায়গা না থাকায় কাজের জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে
থেকে কাজ করতে হয়। কেননা এখানে কোন অর্ভ্যথনা কক্ষ নেই। বর্তমানে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআই এবং পনের জন কনষ্টেবল (পুলিশ সদস্য) কর্মরত রয়েছেন। মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (কর্মকর্তা) বলেন, এলাকার অপরাধ দমনে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্র বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। কিন্ত তদন্তকেন্দ্রে কোন সেন্ট্রিপোষ্ট ও নিরাপত্তা প্রাচীর ঝুঁকিপুর্ণ থাকায় পুলিশ সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, দ্বিতল ভবনের নিচের দু’ কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং দোতলার দু’ কক্ষ ডরমেটরি হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকলেও পৃথক ডাইনিং চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও উপকরণের অপ্রতুল্যতার মধ্যদিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে একটি ভাড়া ভবনে, যা অনেক আগেই ঝুঁকিপুর্ণ হয়েছে, সেখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। তবে এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্তকেন্দ্র ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের সিমানা প্রাচীর ও সেন্ট্রি পোষ্ট না থাকায় নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম চলছে।

এছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ,আবাসন সংকট, বাবুর্চি, টহলগাড়ী, চেয়ার, টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ও উপকরণের অভাবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের নিজস্ব কোন ভবন নেই, ভাড়াটিয়া ভবনে স্থাপনের পর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে কার্যক্রম। ঝুঁকিপুর্ণ নিরাপত্তা প্রাচীরের মধ্যে আটক অপরাধীদের পৃথক কক্ষ না থাকায় অনেকটা আশংকার মধ্য তাদের কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জনবহুল ও বিস্তীর্ণ এই উপজেলার আইনশৃংঋলা রক্ষার্থে বিগত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় একটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রথমে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভাড়াটিয়া দ্বিতল ভবনে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রর কার্যক্রম শুরু হয়।

পরবর্তীতে মুন্ডুমালা ডাকবাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ও পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) বিস্তীর্ণ এলাকার আইনশৃংঋলার উন্নতি, অপরাধ দমন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষন অসামাজিক কার্যক্রলাপ রোধে এবং থানা হতে দুরবর্তি দুর্গম পল্লী এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়।

থানা হতে দুরবর্তি এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি মুন্ডুমালা ডাকবাংলো দ্বিতল ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দ্বিতল ভবনের ৪টি কক্ষ একটি কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, অপর দুটি কক্ষে দু’জন কর্মকর্তা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাঁকি একটি কক্ষে পুলিশ সদস্যদের এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ও ঘোরাফেরা করে কর্তব্য পালন করতে হয়।

তাছাড়া সেবা প্রার্থীদের নিদ্রিষ্ট কোনো বসার জায়গা না থাকায় কাজের জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে
থেকে কাজ করতে হয়। কেননা এখানে কোন অর্ভ্যথনা কক্ষ নেই। বর্তমানে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআই এবং পনের জন কনষ্টেবল (পুলিশ সদস্য) কর্মরত রয়েছেন। মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (কর্মকর্তা) বলেন, এলাকার অপরাধ দমনে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্র বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। কিন্ত তদন্তকেন্দ্রে কোন সেন্ট্রিপোষ্ট ও নিরাপত্তা প্রাচীর ঝুঁকিপুর্ণ থাকায় পুলিশ সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, দ্বিতল ভবনের নিচের দু’ কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং দোতলার দু’ কক্ষ ডরমেটরি হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকলেও পৃথক ডাইনিং চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও উপকরণের অপ্রতুল্যতার মধ্যদিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে একটি ভাড়া ভবনে, যা অনেক আগেই ঝুঁকিপুর্ণ হয়েছে, সেখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। তবে এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্তকেন্দ্র ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি