মাদক নির্মূল ও কর্মসংস্থান আমার লক্ষ্য: কাউন্সিলর আরমান আলী
- আপডেট সময় : ০৪:১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ২০২৩ নির্বাচন ২১ জুন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। নতুন কিছু মুখ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হলেও পুরনোদের কদর বেশি দেখা যাচ্ছে জনগণের মাঝে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আরমান আলীকেই আবারও নির্বাচনে বিজয়ী করে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চান ওয়ার্ডবাসী।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব আরমান আলী সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ওয়ার্ডের গরিব দুঃখী মানুষের পাশে সবসময় আছি। ওয়ার্ডের নানা মুখী সমস্যা সমাধানে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবারো ওয়ার্ডবাসী ভালোবেসে আমাকে দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছে।
ওয়ার্ডবাসীর ভালোবাসায় আমি আবারো নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছি। ওয়ার্ডবাসী আমাকে নিরাশ করবে না এই বিশ্বাস আমার রয়েছে। প্রতিদিন আমি ওয়ার্ডের ভেতর বিভিন্ন এলাকায় ওয়ার্ডবাসীর খোঁজখবর নিতে বের হই এবং কার কি সমস্যা তা সমাধান করার চেষ্টা করি। জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দেয়। আপনারা দেখবেন ২৪ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু অংশ পদ্মা পাড়ে। আগে সামান্য বৃষ্টি হলে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারত না, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো ও পানিবন্দী হয়ে পড়তো লোকজন। বর্ষা মৌসুমে মানুষের বাড়িঘর পানিতে ডুবে যেত। তখন মানুষ শহর রক্ষা বাঁধের উপরে ঘর করে থাকতো। এখন আর সেই সমস্যা নাই।
আপনারা আমার ওয়ার্ড ঘুরে দেখবেন আমি ক্ষমতায় আসার পর সকল কাঁচা রাস্তা উঁচু পাকা রাস্তা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছি। এখন আর বর্ষা মৌসুমে মানুষের বাড়িঘর পানিতে ডুবে না। আমার ওয়ার্ডে আগে প্রচুর মাদক ব্যবসা হতো কিন্তু আমি ক্ষমতায় আসার পর ৯৫ শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছি। এলাকায় আগে প্রচুর মারামারি হতো আমি ক্ষমতায় আসার পর সব বন্ধ হয়ে গেছে। আমার ওয়ার্ডের অনেক ছাত্রী খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তারা লাইন ধরে স্কুলে যায়। আগে রাস্তায় বখাটেরা ইভটিজিং করতো। বর্তমানে এগুলো বন্ধ করেছি। এখন কেউ ইভটিজিং করার সাহস পায় না। এখন মেয়েরা নির্ভয়ে স্কুলে যায়।
এছাড়া আমার ওয়ার্ডে দুটি স্কুল ও দুটি ঈদগা নির্মাণ করেছি তার মধ্যে একটি ঈদগার কাজ চলমান রয়েছে। আমার ওয়ার্ডে তরুণ সংঘ স্কুল বেসরকারি ছিল, এখন ওই স্কুল সরকারি হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা রাজশাহীর উন্নয়নে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে। আমি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের কাছে থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছি এবং প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করেছি। আপনারা আমার ওয়ার্ডের বাঁধের উপর ও রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে বুঝতে পারবেন, বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ২৪ নং ওয়ার্ড।
রাস্তা এবং বাঁধের সৌন্দর্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে, সেলফি তোলে বিভিন্ন নাটকের শুটিংয়ের কাজ করে। সেজন্যই তালাইমারি থেকে আলুপট্টি পর্যন্ত রাস্তাটি, রাজকীয় সড়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। আগে বৃষ্টি হলে সহররক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যেত না। আমি ৮ ফিট চওড়া পিচঢালাই এর রাস্তা করে দিয়েছি। এখন নির্ভয়ে মানুষ হেটে চলে,পড়ে যাবার ভয় থাকে না।
এছাড়াও সহররক্ষা বাঁধের পাশ দিয়ে পঞ্চবটি থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত ১১ কোটি টাকা বরাদ্দে একটি লেক হবে। এই লেকটি হয়ে গেলে ২৪ নং ওয়ার্ডের চিত্র আরো বদলে যাবে। বাইরে থেকে লোকজন আসবে ২৪ নং ওয়ার্ডে বিনোদনের জন্য। পাশাপাশি তৈরি হবে কর্মসংস্থান। ওয়ার্ডবাসীর কাছে আমার প্রত্যাশা আমাকে আবারও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এবং আমি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ওয়ার্ডবাসীর সেবা করে যেতে চাই।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি