রাজশাহীতে ইদের জামাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন মুসলিরা
- আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১২১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। রাজশাহীর বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন নগরীর জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোহাম্মদ শাহাদত আলী। তাকে সহযোগিতা করেন হেতেমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি ইয়াকুব আলী।
এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন- রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ্, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সাধারণ মুসল্লিরা কাতারবদ্ধ হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে অব্যাহত তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ পাকের কাছে বৃষ্টিপাতের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবাই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। এ সময় মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও গোটা মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় শাহ মখদুম ঈদগাহ ছাড়াও রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকার শতাধিক এবং ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে তাপপ্রবাহের কারণে শনিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই প্রায় সব এলাকায় ঈদের এই জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাত শেষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং শিশু-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারি বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন করতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সঙ্গে অন্য ঈদগাহগুলোর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ঈদের নামাজ হয়েছে।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি