ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ রায়হান আলীর নাম বিকৃতি জাতীয় বিজ্ঞানমেলায় চমক দেখাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাব ভালো আলোচনা হচ্ছে, ঐকমত‍্য হচ্ছে না: এবি পার্টি ইলিশের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ-আপত্তি ব্যবসায়ীদের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার সি-পুতিন ফোনালাপ: যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে চীন-রাশিয়া টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী উদযাপনে বড় আয়োজন বিসিবির বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসন ও গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে কমিটি মুসলিম জাতিসত্তার ঐতিহাসিক পটভূমি-৬ ৪৪ উপজেলায় হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি: ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বিচার বিভাগের অন্তর্ভূক্তি ও ব্লক পোস্ট বাতিল করে পদোন্নতির দাবীতে আদালত কর্মচারীদের ২ ঘন্টা কর্ম বিরতী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের আদালতে যে সকল ব্যক্তি বিচারকের সকারী হিসেবে কাজ করেেআসছেন তাদেরকে আমরা আদালতের কর্মচারী বলে থাকি। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ  ভিন্ন কথা বলে। আদালতের পেশকার, সেরেস্তাদার, জারিকারক, অফিস সহায়কসহ আরো যে সকল পদ রয়েছে তার সবই বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধিন।

অর্থাৎ আদালতের কর্মচারীরা বিচারকের সহায়ক হিসেবে কাজ করলেও তাাঁরা আইন মন্ত্রনালয়ের কর্মচারী নয়। তাদের বেত ভাতাসহ সকল ধরনের সুবিধাদী আসে জন প্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে। শুধু কি তাই যে মানুষটি এক বুক আশা নিয়ে আদালতের চাকরীতে যোগদান করে-সে জানেইনা একই পদে তাকে সারা জীবন কাটাতে হবে। চাকরীর কিছু দিন যাবার পর তাঁর মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়।

হতাশাগ্রস্থ আদালতের এই কর্মচারীরা নিজেদের স্বাধীন জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্ভূক্তি দাবী তুলে আসছিলেন বিভিন্ন সময়। আর এ দাবী পূরণের জন্য কখনো আইন মন্ত্রনালয় আবার কখনো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর ফলাফলে শুধু আস্বাস পেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন যুগের পর যুগ। এর ফলে সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

এই ক্ষোভ থেকেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমি ঘটনার অবতরণ হয়েছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর প্রথম বারের মত সমগ্র বাংলাদেমের বিচার বিভাগীয় কর্ম চারীরা ২ (দু্থই) ঘন্টা কর্ম  বিরতি পালন করেছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখ।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরুকরে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহীর সকল আদালতে কর্মবিরতি পালন করে। এ সময় সকল ধরনের  বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।  আদালতের কর্মচারীরা আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসুচী ও র‌্যালী করেন। র‌্যালিটি আদালত চত্বর থেকে শুরু হয়ে  রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের ইবনে মাহ্বুব, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমীন , রাজশাহী জেলা সাধারন সম্পাদক এ.কে.এম সোহেল রানা, রাজশাহী জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম সহ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ মাহমুদুল হাসানপ্রমূখ।

এ সময় এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন বিচার বিভাগের কর্মচারীদের প্রতি এমন বৈষম্যের কথা চিন্তা করে যদি আমাদের দাবী মেনে নেয়া না হয়, তাহলে সামনে আরো কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিচার বিভাগের অন্তর্ভূক্তি ও ব্লক পোস্ট বাতিল করে পদোন্নতির দাবীতে আদালত কর্মচারীদের ২ ঘন্টা কর্ম বিরতী

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের আদালতে যে সকল ব্যক্তি বিচারকের সকারী হিসেবে কাজ করেেআসছেন তাদেরকে আমরা আদালতের কর্মচারী বলে থাকি। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ  ভিন্ন কথা বলে। আদালতের পেশকার, সেরেস্তাদার, জারিকারক, অফিস সহায়কসহ আরো যে সকল পদ রয়েছে তার সবই বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধিন।

অর্থাৎ আদালতের কর্মচারীরা বিচারকের সহায়ক হিসেবে কাজ করলেও তাাঁরা আইন মন্ত্রনালয়ের কর্মচারী নয়। তাদের বেত ভাতাসহ সকল ধরনের সুবিধাদী আসে জন প্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে। শুধু কি তাই যে মানুষটি এক বুক আশা নিয়ে আদালতের চাকরীতে যোগদান করে-সে জানেইনা একই পদে তাকে সারা জীবন কাটাতে হবে। চাকরীর কিছু দিন যাবার পর তাঁর মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়।

হতাশাগ্রস্থ আদালতের এই কর্মচারীরা নিজেদের স্বাধীন জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্ভূক্তি দাবী তুলে আসছিলেন বিভিন্ন সময়। আর এ দাবী পূরণের জন্য কখনো আইন মন্ত্রনালয় আবার কখনো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর ফলাফলে শুধু আস্বাস পেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন যুগের পর যুগ। এর ফলে সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

এই ক্ষোভ থেকেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমি ঘটনার অবতরণ হয়েছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর প্রথম বারের মত সমগ্র বাংলাদেমের বিচার বিভাগীয় কর্ম চারীরা ২ (দু্থই) ঘন্টা কর্ম  বিরতি পালন করেছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখ।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরুকরে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহীর সকল আদালতে কর্মবিরতি পালন করে। এ সময় সকল ধরনের  বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।  আদালতের কর্মচারীরা আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসুচী ও র‌্যালী করেন। র‌্যালিটি আদালত চত্বর থেকে শুরু হয়ে  রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের ইবনে মাহ্বুব, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমীন , রাজশাহী জেলা সাধারন সম্পাদক এ.কে.এম সোহেল রানা, রাজশাহী জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম সহ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ মাহমুদুল হাসানপ্রমূখ।

এ সময় এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন বিচার বিভাগের কর্মচারীদের প্রতি এমন বৈষম্যের কথা চিন্তা করে যদি আমাদের দাবী মেনে নেয়া না হয়, তাহলে সামনে আরো কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।