ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

অডিটে আসা কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন হাসপাতালেরই তিন কর্মচারী; এ যেন দূর্নীতির আখরায় নিয়ে হাজির অডিট কর্তারা

অডিটরদের খুশি করতে চাঁদা দিতে হলো রাজশাহীর ৫৭ নার্সকে

খ্রীষ্টফার জয়
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :


স্বাস্থ্য বিভাগের অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে খুশি করতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৫৭ জন নার্সকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এই ৫৭ জন হাসপাতালের ৫৭টি ওয়ার্ডের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অডিটে আসা কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন হাসপাতালেরই তিন কর্মচারী।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ জানিয়েছেন, মাথাপিছু তাঁরা এক হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন।

গত রবিবার স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালটিতে নিরীক্ষায় এসেছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা ফিরে গেছেন।

ইনচার্জরা জানান, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোন করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত রবিবার তিনজন নিরীক্ষক হাসপাতালে আসার পরই সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন চাঁদা তোলার ছক কষেন। তাঁরা প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নাকে নির্দেশনা দেন। গত বৃহস্পতিবার কামরুন্নাহার পান্না ওয়ার্ড ইনচার্জদের ডেকে সভা করেন। সেখানে তিনি মাথাপিছু এক হাজার ২০০ টাকা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মো. তারেক নামের এক ব্রাদারকে টাকা আদায়কারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এর বেশি তিনি কথা বলতে চাননি। কথা বলার জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুনের মোবাইলে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ফোন ধরেননি সুফিয়া খাতুনের সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌসও।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা কোনো টাকা-পয়সা নিইনি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। এটা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে।’

হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, দাপ্তরিক কাজে তিনি সচিবালয়ে গেছেন। কারা এই কাজ করেছেন তিনি তা তদন্ত করে দেখবেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অডিটে আসা কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন হাসপাতালেরই তিন কর্মচারী; এ যেন দূর্নীতির আখরায় নিয়ে হাজির অডিট কর্তারা

অডিটরদের খুশি করতে চাঁদা দিতে হলো রাজশাহীর ৫৭ নার্সকে

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :


স্বাস্থ্য বিভাগের অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে খুশি করতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৫৭ জন নার্সকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এই ৫৭ জন হাসপাতালের ৫৭টি ওয়ার্ডের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অডিটে আসা কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন হাসপাতালেরই তিন কর্মচারী।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ জানিয়েছেন, মাথাপিছু তাঁরা এক হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন।

গত রবিবার স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালটিতে নিরীক্ষায় এসেছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা ফিরে গেছেন।

ইনচার্জরা জানান, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোন করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত রবিবার তিনজন নিরীক্ষক হাসপাতালে আসার পরই সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন চাঁদা তোলার ছক কষেন। তাঁরা প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নাকে নির্দেশনা দেন। গত বৃহস্পতিবার কামরুন্নাহার পান্না ওয়ার্ড ইনচার্জদের ডেকে সভা করেন। সেখানে তিনি মাথাপিছু এক হাজার ২০০ টাকা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মো. তারেক নামের এক ব্রাদারকে টাকা আদায়কারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এর বেশি তিনি কথা বলতে চাননি। কথা বলার জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুনের মোবাইলে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ফোন ধরেননি সুফিয়া খাতুনের সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌসও।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা কোনো টাকা-পয়সা নিইনি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। এটা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে।’

হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, দাপ্তরিক কাজে তিনি সচিবালয়ে গেছেন। কারা এই কাজ করেছেন তিনি তা তদন্ত করে দেখবেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি