ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রামেবি ভিসির নিয়োগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল, ফুলেল শুভেচ্ছা-সাক্ষাৎ

রাজশাহীতে ৩৪টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে প্রবেশনে মুক্তি

খ্রীষ্টফার জয়
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে ৩৪টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। এসব কিশোররা তাদের বাড়িতে থাকবেন। সেখানে থেকে তাদের ভালো কাজ করতে হবে।

আদালতে ৪১ শিশু-কিশোরের মধ্যে ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের ওপর আরোপিত শর্তগুলো পালন হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত তদারকি করবেন ও রিপোর্ট দেবেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন ও বহন, মারামারির মতো ঘটনায় ৩৪টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।

জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, গত এক বছরে রাজশাহীর শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক প্রায় ৮০ টি মামলায় ৮০ জন শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশে আমরা বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তসমূহ আরোপ করি। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করায় বিজ্ঞ আদালত আজ ৪১ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিলেন। এসময় তাদের হাতে ফুল ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে ৩৪টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে প্রবেশনে মুক্তি

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে ৩৪টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। এসব কিশোররা তাদের বাড়িতে থাকবেন। সেখানে থেকে তাদের ভালো কাজ করতে হবে।

আদালতে ৪১ শিশু-কিশোরের মধ্যে ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের ওপর আরোপিত শর্তগুলো পালন হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত তদারকি করবেন ও রিপোর্ট দেবেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন ও বহন, মারামারির মতো ঘটনায় ৩৪টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।

জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, গত এক বছরে রাজশাহীর শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক প্রায় ৮০ টি মামলায় ৮০ জন শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশে আমরা বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তসমূহ আরোপ করি। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করায় বিজ্ঞ আদালত আজ ৪১ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিলেন। এসময় তাদের হাতে ফুল ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি