ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবন্তিকার মৃত্যু: ৬ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সন্ধ্যায় শান্ত চত্বরে ফাইরুজ অবন্তিকার হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবিতে মশাল মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। পরে অবন্তিকার স্মরণে আলোক প্রজ্বলন ও পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শনী করেন শিক্ষার্থীরা।

৬ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে তদন্ত করে আম্মানসহ তার সহপাঠি ও জড়িত প্রক্টরকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে, সাবেক প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, পূর্বের সব নিপীড়নের বিচার করতে হবে, ক্যাম্পাসে নিপীডন দমন সেল গঠন করতে হবে, তদন্ত সাপেক্ষে কেউ অভিযোগ করলে বিচার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করতে হবে, ইতিমধ্যে ৪৪ ঘণ্টা পার হলেও গ্রফিতার এবং সাময়িক বহিষ্কার ছাড়া কিছুই করা হয়নি। আগামী সাতদিনের মধ্যে সব রকমের বিচার শেষ করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করলেই হবে না, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অঙ্কন বিশ্বাস, মীম কিংবা ফাইরুজ অবন্তিকা নয় অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী আছে ক্যাম্পাসে নিয়মিত শিক্ষক-সহপাঠীদের কাছে যৌন হয়রানির নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

শিক্ষার্থীর আরও বলেন, আর যদি আমাদের বোন অবন্তি মারা না যেতো তাহলে হয়তো বিষয়টি সামনে আসতো না। এই ভাবেই তাকে তিল তিল করে মেরে ফেলতো। কিন্তু আমাদের বোন এর কোনো বিচার না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে ভুগতে শেষ মুহূর্তে এসে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর আগেই এ বিষয়ে সুরাহা করত হয়তো আজ এখানে মশাল মিছিল কিংবা মোমবাতি প্রজ্বলন করতে হতো না।

এর আগে আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনেঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতার পাওয়া গেছে। তবে এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, রবিবার দুপুর ১২টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন নেতৃত্বে ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত কিভাবে শুরু করা হবে তার রোডম্যাপ করা হয়।

সভা শেষে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা। আজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরেও আমরা সভা করেছি এবং আগামীকালও করবো।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অবন্তিকার মৃত্যু: ৬ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সন্ধ্যায় শান্ত চত্বরে ফাইরুজ অবন্তিকার হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবিতে মশাল মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। পরে অবন্তিকার স্মরণে আলোক প্রজ্বলন ও পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শনী করেন শিক্ষার্থীরা।

৬ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে তদন্ত করে আম্মানসহ তার সহপাঠি ও জড়িত প্রক্টরকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে, সাবেক প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, পূর্বের সব নিপীড়নের বিচার করতে হবে, ক্যাম্পাসে নিপীডন দমন সেল গঠন করতে হবে, তদন্ত সাপেক্ষে কেউ অভিযোগ করলে বিচার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করতে হবে, ইতিমধ্যে ৪৪ ঘণ্টা পার হলেও গ্রফিতার এবং সাময়িক বহিষ্কার ছাড়া কিছুই করা হয়নি। আগামী সাতদিনের মধ্যে সব রকমের বিচার শেষ করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করলেই হবে না, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অঙ্কন বিশ্বাস, মীম কিংবা ফাইরুজ অবন্তিকা নয় অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী আছে ক্যাম্পাসে নিয়মিত শিক্ষক-সহপাঠীদের কাছে যৌন হয়রানির নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

শিক্ষার্থীর আরও বলেন, আর যদি আমাদের বোন অবন্তি মারা না যেতো তাহলে হয়তো বিষয়টি সামনে আসতো না। এই ভাবেই তাকে তিল তিল করে মেরে ফেলতো। কিন্তু আমাদের বোন এর কোনো বিচার না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে ভুগতে শেষ মুহূর্তে এসে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর আগেই এ বিষয়ে সুরাহা করত হয়তো আজ এখানে মশাল মিছিল কিংবা মোমবাতি প্রজ্বলন করতে হতো না।

এর আগে আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনেঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতার পাওয়া গেছে। তবে এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, রবিবার দুপুর ১২টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন নেতৃত্বে ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত কিভাবে শুরু করা হবে তার রোডম্যাপ করা হয়।

সভা শেষে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা। আজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরেও আমরা সভা করেছি এবং আগামীকালও করবো।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি