সরকারি কলেজ যেন হয়েছে উঠেছে রাজনৈতিক সভাকক্ষ্য
- আপডেট সময় : ০৫:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থি আব্দুল ওবাদুদ দারা পক্ষে ৭নং জয়নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দাওকান্দি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে এক বর্ধিত সভা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি সরকারি কলেজে বিকাল ৪টায় ৭নং জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভাটি হয়। যেখানে সভাপত্তিত্ব করেন ৭নং জয়কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান।
প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও দূর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ।
অভন্তরিণ সূত্রে বলেন, নিয়ম না মেনে সেখানে দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো মোজ্জামেল হক প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পূর্বেও এমন কার্যক্রম করেছেন যার প্রমান মিলেছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, অধ্যক্ষ এমন আওয়ামী লীগের সভা সরকারি কলেজের অডিটরিয়াম রুমে প্রায় সময় পরিচালনা করে থাকেন। আবার তিনি নিজে নমিনেশন পত্র জমা দিচ্ছেন দলিয় ভাবে। যেটি আমরা মনে করছি দলের নেতার জন্য হুমকি।
তথ্যের ভিত্তিতে এই বর্ধিত সভায় কারা উপস্থিত ছিলেন এই বিষয় ৭নং জয়নগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে এই বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক। একই সাথে অনেক নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। তবে কোন সরকারি কর্মকর্তা এমন প্রোগ্রামে থাকতে পারবে কিনা সেই বিষয়ে আমার জানা নেই।
তথ্যের সত্যত্ত্বা মিললে আরো সঠিক হওয়ার জন্য দূর্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের কাছে অধ্যক্ষ মোজ্জামের হকের উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোজ্জামেল ভাই বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আমরা একসাথে সেখানে ছিলাম। তার কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন এই সকল সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না এমন কোন নিয়ম কোথাও নেই আর এটি কোন নিয়মের মধ্যেও পরে না।
ঘটনার রেস ধরে বিষয়টি দূর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুুল করিমকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে থাকতে পারে না। তবে এই বিষয়টি আমি জানি না বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। আর এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় প্রমান মিললে ব্যবস্থা নিবে।
পরবর্তিতে বিষয়টি রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আহমেদকে জানালে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। যেটি তদন্ত সাপেক্ষে আমারা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো এবং যদি প্রমান মিলে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোজ্জামেল হক’কে মুুঠো ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নাই। পরবতীর্তে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি