ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমনের মাঠজুড়ে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালী ধানের শীশ

সারোয়ার হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

তানোর প্রতিনিধি :


উত্তরবঙ্গের মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত নাম তানোর উপজেলা। বর্তমানে তানোর উপজেলার যেদিকে চোখ যায় যতদূর শুধু দুলছে আমন ধানের সোনালী শীশ। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল আমন ধানে পাক ধরতে শুরু করেছে। জানা গেছে, গত’বছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা তেমন আকাশের বৃষ্টির দেখা। যার ফলে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেননি অনেক কৃষক।

তবে অসময়ে হলেও বাদ পড়েন নি কোন কৃষক আমন ধান চাষ করতে। আর যাঁরা আমনের শুরুতে ডিপ মটারের পানি কিনে আমন ধান রোপণ করছেন তাদের প্রায় জমিতে আগে ধানের শীশ গজাতে শুরু করলেও এখন পুরো মাঠজুড়ে একসাথে বের হতে শুরু করেছে আমন ধানের শীশ। এতে করে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত ফসল দেখে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলার কামারগাঁ, বাধাইড় পাঁচন্দর ও তানোর পৌরসভা, মুন্ডুমালা পৌরসভার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,কমবেশি প্রায় সব জমিতে আমন ধানের শীশ বেরিয়ে পাক ধরতে শুরু করেছে। অনেকে আগাম রোপণকৃত আমন ধান কাটা মাড়াইও করছেন। কৃষকরা জানান, যদি আকাশের কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আমন ধান কাটা মাড়াই জোরেশোরে শুরু হয়ে পড়বে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,এবার চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২২হাজার ৪৩৫ হেক্টর। কিন্তু অর্জন হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ।

তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চিমনা গ্রামের মাহবুবুর রহমান বলেন,তিনি ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০হাজার টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মতো। এতে করে একেক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে।

কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, অন্যবছরের তুলনায় এবছর আমন ধান চাষের জন্য কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। একে তো আমন রোপণের সঠিক সময়ে বৃষ্টি ছিলনা তার ভিতরে সার পটাশের ব্যাপক সংকট ছিলো। তার পরেও আল্লাহর রহমতে খুব ভালো হয়েছে আমন ধান চাষ। আসা করা যাচ্ছে ফলনও ভালো হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, বর্তমানে আকাশের আবহাওয়া কৃষকের অনুকূলে রয়েছে, ইতিমধ্যে আমন ধানের শীশ বেরিয়ে পাক ধরতে শুরু করেছে। আমনের এই একটি আবাদ কৃষকেরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি আকাশের কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হবে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমনের মাঠজুড়ে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালী ধানের শীশ

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

তানোর প্রতিনিধি :


উত্তরবঙ্গের মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত নাম তানোর উপজেলা। বর্তমানে তানোর উপজেলার যেদিকে চোখ যায় যতদূর শুধু দুলছে আমন ধানের সোনালী শীশ। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল আমন ধানে পাক ধরতে শুরু করেছে। জানা গেছে, গত’বছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা তেমন আকাশের বৃষ্টির দেখা। যার ফলে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেননি অনেক কৃষক।

তবে অসময়ে হলেও বাদ পড়েন নি কোন কৃষক আমন ধান চাষ করতে। আর যাঁরা আমনের শুরুতে ডিপ মটারের পানি কিনে আমন ধান রোপণ করছেন তাদের প্রায় জমিতে আগে ধানের শীশ গজাতে শুরু করলেও এখন পুরো মাঠজুড়ে একসাথে বের হতে শুরু করেছে আমন ধানের শীশ। এতে করে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত ফসল দেখে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলার কামারগাঁ, বাধাইড় পাঁচন্দর ও তানোর পৌরসভা, মুন্ডুমালা পৌরসভার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,কমবেশি প্রায় সব জমিতে আমন ধানের শীশ বেরিয়ে পাক ধরতে শুরু করেছে। অনেকে আগাম রোপণকৃত আমন ধান কাটা মাড়াইও করছেন। কৃষকরা জানান, যদি আকাশের কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আমন ধান কাটা মাড়াই জোরেশোরে শুরু হয়ে পড়বে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,এবার চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২২হাজার ৪৩৫ হেক্টর। কিন্তু অর্জন হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ।

তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চিমনা গ্রামের মাহবুবুর রহমান বলেন,তিনি ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০হাজার টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মতো। এতে করে একেক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে।

কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, অন্যবছরের তুলনায় এবছর আমন ধান চাষের জন্য কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। একে তো আমন রোপণের সঠিক সময়ে বৃষ্টি ছিলনা তার ভিতরে সার পটাশের ব্যাপক সংকট ছিলো। তার পরেও আল্লাহর রহমতে খুব ভালো হয়েছে আমন ধান চাষ। আসা করা যাচ্ছে ফলনও ভালো হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, বর্তমানে আকাশের আবহাওয়া কৃষকের অনুকূলে রয়েছে, ইতিমধ্যে আমন ধানের শীশ বেরিয়ে পাক ধরতে শুরু করেছে। আমনের এই একটি আবাদ কৃষকেরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি আকাশের কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হবে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি