ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

নতুন ভোট কেন্দ্রের তদবিরে মন্ত্রী- এমপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে নতুন ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও পুরাতন ভোট কেন্দ্রে বাতিল করা নিয়ে দেশজুড়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। এমনকি নিজেদের সুবিধামতো কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তদবিরও করছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের উপজেলা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সব নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে ভোট কেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করেছে।

তবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে অনেক মন্ত্রী-এমপি অনুরোধ করেছেন, তাদের সুবিধামতো ভোট কেন্দ্র স্থাপনের। ঢাকা জেলার একজন নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, এবার ভোট কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বেশি তদবির হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তদবির করছেন। অনেকেই আবার পুরাতন কেন্দ্র বাদ দিতেও বলেছেন। একই ধরনের তদবিরের অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সারা দেশেই কম-বেশি তদবির হয়েছে। কেন্দ্র চূড়ান্ত করা পর্যন্ত তদবির আসতেই থাকবে। অনেক মন্ত্রী-এমপি এলাকায় গিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ভোট কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী খসড়া প্রকাশের পর কোনো ভোট কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি থাকলে বা কোনো কেন্দ্র স্থাপনের দাবি থাকলে এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদনও করার বিধান রয়েছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি এসব আদেবন যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবার ১১ কোটি ৯১ লাখেরও বেশি ভোটারের বিপরীতে প্রায় ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র লাগবে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ঘোষিত সময়সূচি হচ্ছে খসড়া কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ বুধবার ১৬ আগস্ট; তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। তালিকা চূড়ান্ত করে মাঠপর্যায় থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে খসড়া প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

আজ (বুধবার) সারা দেশের মতো ঢাকা জেলার স্থানীয় পর্যায়ের অফিসগুলোতে সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারও কোনো দাবি, আপত্তি থাকলে এ নিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। তিনি জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ভোটার বাড়ায় এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রও বাড়বে। ভোট কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে আগের সিংহভাগ কেন্দ্রকেই বহাল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কিছু কেন্দ্রও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ লক্ষ্যে নভেম্বরের দিকে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইন-বিধি অনুযায়ী ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো ভোট কেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা সরেজমিন যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে জানাবেন। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ, সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের জন্য দেশব্যাপী ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন হবে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোটারের ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্র ছিল, তাতে ২ লক্ষাধিক ভোট কক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭,৭০৭টি (ভোটকক্ষ ১,৮৯,০৭৮টি)। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫,২৬৩টি (১,৭৭,২৭৭টি)।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নতুন ভোট কেন্দ্রের তদবিরে মন্ত্রী- এমপি

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নিউজ ডেস্ক:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে নতুন ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও পুরাতন ভোট কেন্দ্রে বাতিল করা নিয়ে দেশজুড়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। এমনকি নিজেদের সুবিধামতো কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তদবিরও করছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের উপজেলা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সব নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে ভোট কেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করেছে।

তবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে অনেক মন্ত্রী-এমপি অনুরোধ করেছেন, তাদের সুবিধামতো ভোট কেন্দ্র স্থাপনের। ঢাকা জেলার একজন নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, এবার ভোট কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বেশি তদবির হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তদবির করছেন। অনেকেই আবার পুরাতন কেন্দ্র বাদ দিতেও বলেছেন। একই ধরনের তদবিরের অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সারা দেশেই কম-বেশি তদবির হয়েছে। কেন্দ্র চূড়ান্ত করা পর্যন্ত তদবির আসতেই থাকবে। অনেক মন্ত্রী-এমপি এলাকায় গিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ভোট কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী খসড়া প্রকাশের পর কোনো ভোট কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি থাকলে বা কোনো কেন্দ্র স্থাপনের দাবি থাকলে এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদনও করার বিধান রয়েছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি এসব আদেবন যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবার ১১ কোটি ৯১ লাখেরও বেশি ভোটারের বিপরীতে প্রায় ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র লাগবে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ঘোষিত সময়সূচি হচ্ছে খসড়া কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ বুধবার ১৬ আগস্ট; তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। তালিকা চূড়ান্ত করে মাঠপর্যায় থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে খসড়া প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

আজ (বুধবার) সারা দেশের মতো ঢাকা জেলার স্থানীয় পর্যায়ের অফিসগুলোতে সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারও কোনো দাবি, আপত্তি থাকলে এ নিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। তিনি জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ভোটার বাড়ায় এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রও বাড়বে। ভোট কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে আগের সিংহভাগ কেন্দ্রকেই বহাল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কিছু কেন্দ্রও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ লক্ষ্যে নভেম্বরের দিকে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইন-বিধি অনুযায়ী ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো ভোট কেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা সরেজমিন যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে জানাবেন। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ, সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের জন্য দেশব্যাপী ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন হবে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোটারের ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্র ছিল, তাতে ২ লক্ষাধিক ভোট কক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭,৭০৭টি (ভোটকক্ষ ১,৮৯,০৭৮টি)। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫,২৬৩টি (১,৭৭,২৭৭টি)।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি