শ্বাশুড়ীকে নিয়ে উধাও অতঃপর বিয়ে তোলপাড় তানোর
- আপডেট সময় : ০১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে সাজিদুল নামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আপন শ্বাশুড়ি কে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাজিদুল রাজশাহীর পলেটেকনিক্যাল কলেজে পড়েন। তার বাড়ি উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ( ইউপির) বারোঘরিয়া মুন্নাপাড়া গ্রামে। সে পরমেজের পুত্র।
গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরে এ বিয়ে করার ঘটনাটি ঘটেছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে সাজিদুলের শাস্তির দাবিও উঠেছে। কারন শ্বাশুড়ি মানে আম্মা,আর সেই আম্মাকে নিয়ে পালিয়ে কিভাবে বিয়ে করেন, এসব দুনিয়া ধ্বংসের একপ্রকার আলামত বলেই মনে করছেন।
শ্বাশুড়ি কে বিয়ে করা কলেজ ছাত্র সাজিদুল ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি বিগত ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে নিয়ামত উপজেলায় বিয়ে করি। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে আমার স্ত্রী ও প্রবাসী শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথে পরকিয়া আছে বলে প্রচার করতে থাকে। আমি আমার বিবাহিত স্ত্রী কে তালাক দিয়ে দিই। তালাক দেয়ার পর আমার শ্বশুর ফেসবুকে আমাকে ও শ্বাশুড়ি কে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায়। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে তালাক দেয়।
এসব ঘটনায় আমাদের মধ্যে মারাত্মক জেদের সৃষ্টি হয়। এজন্য আমি শ্বাশুড়ি কে নিয়ে পালিয়ে শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ে করে রাজশাহী শহরে আছি। শ্বাশুড়ি মানে মা তাকে তো বিয়ে করা জায়েজ নাই জানতে চাইলে তিনি জানান, জায়েজ ওয়াজেজ বিষয় না। আমাদের নামে অপপ্রচার করেছে এজন্য বিয়ে করেছি। আমি আগের স্ত্রী কে তালাক দিয়েছি, তাহলে তো সম্পর্ক থাকলনা বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়। সে এখন আমার শ্বাশুড়ি না আমার স্ত্রী।
কবে কোথায় বিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান গত ১০ আগষ্ট বিয়ে করে রাজশাহী তে আছি, আমার শ্বাশুড়ি দুই সন্তানের মা। কোর্টে বিয়ে করেছেন নাকি কাজী অফিসে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কাজী অফিসে, কোন কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হন নি। তিনি আরো বলেন কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান আমার দোলাভাই, এসব নিয়ে কিছু করা যাবেনা বলেও দাম্ভিকতা দেখান তিনি। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
বেশকিছু কাজী ও মাওলানারা জানান, শ্বাশুড়ি মানে মা, মাকে কোন ভাবেই বিয়ে করা জায়েজ নাই। কারন সে তার মেয়েকে বিয়ে করে প্রায় নয় মাস ঘর সংসার করেছে। সেক্ষেত্রে ইসলাম এটাকে জায়েজ বলেনি। আর একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র কিভাবে ধর্ম বিরোধী কাজ করেন এবং কাজীও কিভাবে বিয়ে পড়ান। তাদের সবাইকে আটক করে চরম শাস্তি দেয়া দরকার।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) বারোঘরিয়া মুন্নাপাড়া গ্রামের পরমেজের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজিদুল বিগত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রবাসীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে লম্পট সাজিদুল আপন শ্বাশুড়ির সাথে পরকিয়া শুরু করেন এবং একান্তে জামাই শ্বাশুড়ি দেখে ফেলেন মেয়ে। যার কারনে মেয়ে তালাক দেন গত বছরের নভেম্বর মাসের দিকে। ওছাড়াও মেয়ে তার প্রবাসী পিতাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জামাই শ্বাশুড়ির লীলা কীর্তন তিনিও তালাক করেন।
সজিদুল আরো বলেন, আমাদের কে নিয়ে প্রচুর বদনাম ছড়ানোর কারনে বিয়ে করেছে। চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, মুন্না বংশে বিয়ে করেছি শ্যালকের অভাব নেই। ঘটনা জানতাম না, আপনারা বলার পরে শুনলাম।
থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন এঘটনা অজানা, কেউ অভিযোগ করলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি