ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

প্রতিমন্ত্রীর বউ পরিচয়ে ডালিয়াকে নিয়ে বইছে মুখরুচোক গুঞ্জন

সারোয়ার হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এবং আয়তনের দিক থেকে দেশের ৮তম সংসদীয় আসনে আয়েশা আখতার ডালিয়াকে নিয়ে বইছে মুখরুচোক গুঞ্জন জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এদিকে তানোর-গোদাগাড়ী এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত, তিনি উন্নয়নের লক্ষ্য এই আসনে নৌকার মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অথচ তার এই বক্তব্য সরাসরি আওয়ামী লীগবিরোধী বলে মনে করছে তৃণমুল।

রাজশাহী-১ নির্বাচনী এলাকায় ডালিয়ার বাবা ও দাদার বাড়ি তাই তিনি এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় কারো বাবা-দাদার বাড়ি থাকলেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করা যায় এটা এই প্রথম শোনা গেল। সচেতন মহলের ভাষ্য, বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল আয়তনের দুর্গম পল্লী বেষ্টিত এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে নতুন কারো পরিচিত হতেই পাঁচ বছর সময় পেরিয়ে যাবে। ফলে কখানোই কোনো রাজনৈতিক দল পরীক্ষিত নেতৃত্ব বঞ্চিত করে নতুন নেতৃত্ব দেবার মতো বোকামি করবে না। আর উড়ে এসে জুড়ে বসে এমপি প্রার্থী হবার কথা তো চিন্তা করাই বোকামি।

অন্যদিকে পাঁচবার দলীয় মনোনয়ন, একবার প্রতিমন্ত্রী, তিনবার নির্বাচিত সাংসদ, একবার জেলার সভাপতি ও সম্পাদক এমন পরীক্ষিত নেতৃত্ব ফারুক চৌধুরীকে কেনো মনোনয়ন বঞ্চিত করে ডালিয়াকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার ব্যাক্ষা এই জনপদের মানুষ জানতে চাই। কারণ পরীক্ষিত নেতৃত্বের প্রতিপক্ষ হবে পরীক্ষিত নেতৃত্ব। এখন যে কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসে যদি পরীক্ষিত নেতৃত্ব সরিয়ে নিজে সেই স্থান নিজে নিতে চাই, তাহলে তার সেই চাওয়াই তো অপরাধ বা সীমালঙ্ঘন বলে মনে করছে তৃণমুল।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আয়েশা আক্তার ডালিয়া এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে মাঝে মধ্যে তানোরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দু’একজনের সঙ্গে কথা বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে গণসংযোগ। কিন্ত্ত তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপির ৮১ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী তার সঙ্গে নাই, তাহলে তিনি ভোট করবেন কাদের নিয়ে, আর তার সঙ্গে আছে কারা এসব বিবেচনায় ডালিয়াকে নিয়ে সাধারণের মাঝে নেতিবাচক আলোচনা ও নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সূত্রপাত বলে মনে করছে সাধারণ নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো সাংসদ ফারুক চৌধূরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরীক্ষিত তৃণমূলের আস্থা ও ভরসার প্রতিক এমপি ফারুক আবারো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন সেটা প্রায় ৬ মাস আগেই নিশ্চিত হয়েছে। অথচ কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না তাকে কখানো কোনো অবস্থাতেই তৃণমূল মেনে নিবে না। কিন্ত্ত মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও একশ্রেণীর কথিত নেতা এমপি ফারুকের মনোনয়ন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে ডালিয়াকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে মাঠে নামিয়ে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নস্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করছে বলে তৃণমুলের অভিমত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর লেজ কাটতে এক প্রতিমন্ত্রী বিপদগামী কিছু নেতার সমন্বয়ে সেভেনস্টার সৃষ্টি করেছিল। কিন্ত্ত কথিত সেভেনস্টার হারিয়ে গেছে এখন প্রতিমন্ত্রীর নিজের লেজেই পা পড়েছে। ফলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে, এখন তিনি আবারো ফারুক চৌধুরীবিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আয়েশা আক্তার ডালিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব নেয়া সম্ভব হয়নি।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিমন্ত্রীর বউ পরিচয়ে ডালিয়াকে নিয়ে বইছে মুখরুচোক গুঞ্জন

আপডেট সময় : ০৫:২১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এবং আয়তনের দিক থেকে দেশের ৮তম সংসদীয় আসনে আয়েশা আখতার ডালিয়াকে নিয়ে বইছে মুখরুচোক গুঞ্জন জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এদিকে তানোর-গোদাগাড়ী এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত, তিনি উন্নয়নের লক্ষ্য এই আসনে নৌকার মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অথচ তার এই বক্তব্য সরাসরি আওয়ামী লীগবিরোধী বলে মনে করছে তৃণমুল।

রাজশাহী-১ নির্বাচনী এলাকায় ডালিয়ার বাবা ও দাদার বাড়ি তাই তিনি এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় কারো বাবা-দাদার বাড়ি থাকলেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করা যায় এটা এই প্রথম শোনা গেল। সচেতন মহলের ভাষ্য, বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল আয়তনের দুর্গম পল্লী বেষ্টিত এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে নতুন কারো পরিচিত হতেই পাঁচ বছর সময় পেরিয়ে যাবে। ফলে কখানোই কোনো রাজনৈতিক দল পরীক্ষিত নেতৃত্ব বঞ্চিত করে নতুন নেতৃত্ব দেবার মতো বোকামি করবে না। আর উড়ে এসে জুড়ে বসে এমপি প্রার্থী হবার কথা তো চিন্তা করাই বোকামি।

অন্যদিকে পাঁচবার দলীয় মনোনয়ন, একবার প্রতিমন্ত্রী, তিনবার নির্বাচিত সাংসদ, একবার জেলার সভাপতি ও সম্পাদক এমন পরীক্ষিত নেতৃত্ব ফারুক চৌধুরীকে কেনো মনোনয়ন বঞ্চিত করে ডালিয়াকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার ব্যাক্ষা এই জনপদের মানুষ জানতে চাই। কারণ পরীক্ষিত নেতৃত্বের প্রতিপক্ষ হবে পরীক্ষিত নেতৃত্ব। এখন যে কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসে যদি পরীক্ষিত নেতৃত্ব সরিয়ে নিজে সেই স্থান নিজে নিতে চাই, তাহলে তার সেই চাওয়াই তো অপরাধ বা সীমালঙ্ঘন বলে মনে করছে তৃণমুল।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আয়েশা আক্তার ডালিয়া এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে মাঝে মধ্যে তানোরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দু’একজনের সঙ্গে কথা বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে গণসংযোগ। কিন্ত্ত তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপির ৮১ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী তার সঙ্গে নাই, তাহলে তিনি ভোট করবেন কাদের নিয়ে, আর তার সঙ্গে আছে কারা এসব বিবেচনায় ডালিয়াকে নিয়ে সাধারণের মাঝে নেতিবাচক আলোচনা ও নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সূত্রপাত বলে মনে করছে সাধারণ নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো সাংসদ ফারুক চৌধূরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরীক্ষিত তৃণমূলের আস্থা ও ভরসার প্রতিক এমপি ফারুক আবারো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন সেটা প্রায় ৬ মাস আগেই নিশ্চিত হয়েছে। অথচ কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না তাকে কখানো কোনো অবস্থাতেই তৃণমূল মেনে নিবে না। কিন্ত্ত মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও একশ্রেণীর কথিত নেতা এমপি ফারুকের মনোনয়ন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে ডালিয়াকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে মাঠে নামিয়ে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নস্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করছে বলে তৃণমুলের অভিমত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর লেজ কাটতে এক প্রতিমন্ত্রী বিপদগামী কিছু নেতার সমন্বয়ে সেভেনস্টার সৃষ্টি করেছিল। কিন্ত্ত কথিত সেভেনস্টার হারিয়ে গেছে এখন প্রতিমন্ত্রীর নিজের লেজেই পা পড়েছে। ফলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে, এখন তিনি আবারো ফারুক চৌধুরীবিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আয়েশা আক্তার ডালিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব নেয়া সম্ভব হয়নি।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি