ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী হোসেন আলীর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

রাজশাহীতে ব্যাংক জালিয়াতি কারাবন্দি ব্যবসায়ীর ৩৭ লাখ টাকা উধাও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী হোসেন আলীর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ২০ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি দাবি করেন, গ্রেফতারের সময় তার গাড়ি থেকে তিনটি ব্যাংকের চেক বই নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই চেকের পাতায় স্বাক্ষর জাল করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই টাকা হাতিয়ে নিতেই গাড়িতে দেশি অস্ত্র ও মাদক রেখে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।

রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা হোসেন আলী ৫ ফেব্রুয়ারি টাকা উত্তোলনকারী চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ দিয়েছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন হোসেন আলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ হাসান শিশিল (৩৫), দুই কর্মচারী মাহমুদ হাসান লিমন (২৮), তন্ময় হোসেন (৩১), আরএমপির বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আওয়াল এবং ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. খালেকুজ্জামান ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রবিউল হোসেন।

হোসেন আলীর আইনজীবী লিয়াকত আলী খান জানান, আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পাঠিয়েছেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, হোসেন আলী জমি, প্লট এবং পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। ১০ আগস্ট নগরীর রেলগেট এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন একদল শিক্ষার্থী। ওই সময় হোসেন আলীর গাড়ি তল্লাশি করা হলে ব্যাকডালায় কিছু দেশীয় অস্ত্র ও দুই বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। তখন ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। পরদিন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার মামলার এজাহারে হোসেন আলী বলেছেন, পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল এবং দুই কর্মচারী লিমন ও তন্ময় তার অগোচরে গাড়ির ব্যাকডালায় কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ও মাদক রেখে দেন। তারপর তারাই শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে গাড়িতে তল্লাশি করায়। ওই সময় তার গাড়িতে থাকা ব্যাগে ব্যাংকের চেক বইসহ অন্য জিনিসপত্রও ছিল। চেকগুলো নেওয়া হলেও সেগুলো জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি। সেই চেক দিয়েই জাল স্বাক্ষরে টাকা তোলা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি কারাগারে থাকাকালে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ, ১৮ সেপ্টেম্বর ১১ লাখ, ২২ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। চেকগুলোয় টাকা উত্তোলনকারীর নাম লেখা হয়েছে হাসান। ১৭ সেপ্টেম্বর হোসেনের হিসাবে ছিল ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭৪ টাকা। চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী হোসেন আলীর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

রাজশাহীতে ব্যাংক জালিয়াতি কারাবন্দি ব্যবসায়ীর ৩৭ লাখ টাকা উধাও

আপডেট সময় : ০৩:০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী হোসেন আলীর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ২০ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি দাবি করেন, গ্রেফতারের সময় তার গাড়ি থেকে তিনটি ব্যাংকের চেক বই নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই চেকের পাতায় স্বাক্ষর জাল করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই টাকা হাতিয়ে নিতেই গাড়িতে দেশি অস্ত্র ও মাদক রেখে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।

রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা হোসেন আলী ৫ ফেব্রুয়ারি টাকা উত্তোলনকারী চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ দিয়েছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন হোসেন আলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ হাসান শিশিল (৩৫), দুই কর্মচারী মাহমুদ হাসান লিমন (২৮), তন্ময় হোসেন (৩১), আরএমপির বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আওয়াল এবং ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. খালেকুজ্জামান ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রবিউল হোসেন।

হোসেন আলীর আইনজীবী লিয়াকত আলী খান জানান, আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পাঠিয়েছেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, হোসেন আলী জমি, প্লট এবং পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। ১০ আগস্ট নগরীর রেলগেট এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন একদল শিক্ষার্থী। ওই সময় হোসেন আলীর গাড়ি তল্লাশি করা হলে ব্যাকডালায় কিছু দেশীয় অস্ত্র ও দুই বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। তখন ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। পরদিন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার মামলার এজাহারে হোসেন আলী বলেছেন, পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল এবং দুই কর্মচারী লিমন ও তন্ময় তার অগোচরে গাড়ির ব্যাকডালায় কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ও মাদক রেখে দেন। তারপর তারাই শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে গাড়িতে তল্লাশি করায়। ওই সময় তার গাড়িতে থাকা ব্যাগে ব্যাংকের চেক বইসহ অন্য জিনিসপত্রও ছিল। চেকগুলো নেওয়া হলেও সেগুলো জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি। সেই চেক দিয়েই জাল স্বাক্ষরে টাকা তোলা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি কারাগারে থাকাকালে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ, ১৮ সেপ্টেম্বর ১১ লাখ, ২২ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। চেকগুলোয় টাকা উত্তোলনকারীর নাম লেখা হয়েছে হাসান। ১৭ সেপ্টেম্বর হোসেনের হিসাবে ছিল ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭৪ টাকা। চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়।