ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তারকৃত মো: ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) ময়মনসিংহ জেলার ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো: মজিবর রহমানের ছেলে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। ঘটনার পরে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যায় এবং চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এরূপ অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা রুজু করে।

মামলা রুজু পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি চৌকস টিম মামলাটির তদন্ত কার্য শুরু করে। তদন্তকার্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

এরপর আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহের মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৩:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল-সহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তারকৃত মো: ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) ময়মনসিংহ জেলার ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো: মজিবর রহমানের ছেলে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। ঘটনার পরে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যায় এবং চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এরূপ অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা রুজু করে।

মামলা রুজু পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি চৌকস টিম মামলাটির তদন্ত কার্য শুরু করে। তদন্তকার্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

এরপর আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহের মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।