ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন জনের বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।

অভিযুক্তরা হলেন, ঝিকরা ইউনিয়নের পিরুলী সেনপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুর রহমান, গুনিয়া ডাঙা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উজির প্রামাণিকের ছেলে মোজাফফর হোসেন, পিরুলী সেনপাড়া ইউনিয়নের বাহার প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝিকরা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল করে পুরা ইউনিয়নে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। তাদের মধ্যে সাজেদুর রহমান পেশায় উকিল না হয়েও উকিল বারে চাকরির নামে এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন৷ আর মোজাফফর হোসেন সুদের নামে মানুষকে টাকা দিয়ে জোর করে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তিনি গত ৫ বছর আগে একজনকে ট্রাক্টরে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেন। তবুও ক্ষমতার বলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন৷

অভিযোগে বলা হয়, মোজাফফরের কারণে অনেক অসহায় লোক প্রাণের ভয়ে ও ঋণের চাপে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঝিকরা ইউনিয়নের শিবদেব পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে ২০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা দিয়েও তার ঋণ পরিশোধ হয় নি। টাকা না দিলে মামলা এবং প্রাণের ভয় দেখিয়ে তাকে একেবারে সর্বশান্ত করে ফেলেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাইফুল ইসলাম বিমা ও ডিপিএম এর নামে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করতো। সে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার উপর পিস্তল ও দেশি অস্ত্র সহ হামলা করে। তার যৌথভাবে মিলেমিশে লুটপাট, ভয়-ভীতি, চাকরির দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ ও জোরপূর্বক ভাবে সরকারি/মালিকানা পুকুর দখলে নিতেন৷ পাশাপাশি চাঁদাবাজি এবং নামমাত্র টাকা দিয়ে স্ট্যাম্প বা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তীতে সেটা দিয়ে বিপুল পরিমাণে টাকা আদায় করতেন।

মোজাফফর হোসেন বিগত ১৫ বছরে সেনপাড়া গ্রামের এবং ঝিকরা ইউনিয়নের প্রায় দুইশ লোকের কাছে বীমা/ডিপিএস এর নাম করে টাকা নিয়ে তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন৷ এই এলাকায় চাঁদাবাজি করে রাজশাহী শহরের ৪০ শতাংশ জমি কিনে পাঁচ তলা ভবন বানিয়েছেন সাজেদুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা হাসিল করতো।

ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যম ভুক্তভোগীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই নেতার অত্যাচারে নিশ্ব হয়ে গেছি। আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে এই খাদকপিপাসু। আমি এ থেকে মুক্তি চাই।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন জনের বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।

অভিযুক্তরা হলেন, ঝিকরা ইউনিয়নের পিরুলী সেনপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুর রহমান, গুনিয়া ডাঙা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উজির প্রামাণিকের ছেলে মোজাফফর হোসেন, পিরুলী সেনপাড়া ইউনিয়নের বাহার প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝিকরা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল করে পুরা ইউনিয়নে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। তাদের মধ্যে সাজেদুর রহমান পেশায় উকিল না হয়েও উকিল বারে চাকরির নামে এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন৷ আর মোজাফফর হোসেন সুদের নামে মানুষকে টাকা দিয়ে জোর করে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তিনি গত ৫ বছর আগে একজনকে ট্রাক্টরে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেন। তবুও ক্ষমতার বলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন৷

অভিযোগে বলা হয়, মোজাফফরের কারণে অনেক অসহায় লোক প্রাণের ভয়ে ও ঋণের চাপে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঝিকরা ইউনিয়নের শিবদেব পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে ২০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা দিয়েও তার ঋণ পরিশোধ হয় নি। টাকা না দিলে মামলা এবং প্রাণের ভয় দেখিয়ে তাকে একেবারে সর্বশান্ত করে ফেলেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাইফুল ইসলাম বিমা ও ডিপিএম এর নামে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করতো। সে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার উপর পিস্তল ও দেশি অস্ত্র সহ হামলা করে। তার যৌথভাবে মিলেমিশে লুটপাট, ভয়-ভীতি, চাকরির দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ ও জোরপূর্বক ভাবে সরকারি/মালিকানা পুকুর দখলে নিতেন৷ পাশাপাশি চাঁদাবাজি এবং নামমাত্র টাকা দিয়ে স্ট্যাম্প বা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তীতে সেটা দিয়ে বিপুল পরিমাণে টাকা আদায় করতেন।

মোজাফফর হোসেন বিগত ১৫ বছরে সেনপাড়া গ্রামের এবং ঝিকরা ইউনিয়নের প্রায় দুইশ লোকের কাছে বীমা/ডিপিএস এর নাম করে টাকা নিয়ে তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন৷ এই এলাকায় চাঁদাবাজি করে রাজশাহী শহরের ৪০ শতাংশ জমি কিনে পাঁচ তলা ভবন বানিয়েছেন সাজেদুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা হাসিল করতো।

ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যম ভুক্তভোগীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই নেতার অত্যাচারে নিশ্ব হয়ে গেছি। আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে এই খাদকপিপাসু। আমি এ থেকে মুক্তি চাই।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি