ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রামেবি ভিসির নিয়োগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল, ফুলেল শুভেচ্ছা-সাক্ষাৎ

সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্যান্সার তৈরি হয়েছে : সারজিস আলম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্যান্সার তৈরি হয়েছে। এটিকে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের নির্মূল করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। এজন্য আমাদের দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, আমাদের ধৈর্য ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক আদর্শ, দলাদলি, মুখোমুখি হওয়ার ট্রেডিশন ও কালচার থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরত থেকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার সাথে মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমাদের ছাত্র-জনতাকে মনে রাখতে হবে আমরা কোনো অথরিটি না। আমরা প্রেসার গ্রুপ। দেশ সংস্কারে আমরা যেসব কাজ করবো, তা যেন আইন মেনে করি। আইনের বাইরে গিয়ে আমাদের কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সব জায়গায় অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বাংলাদেশে কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষ কোটি ডলার বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে। সেইসব পদের জন্য আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন চলেছে। বিগত সময় অনেক দল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হয়নি। সাধারণ মানুষ হাসিনা সরকারের কাছে জিম্মি হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আবু সাঈদ তার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনা ও তার কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো দেশে আছে। তারা আমাদের মাঝে বিভেদ তৈরি করবে। তাই যতদিন পর্যন্ত না দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসছে, ততদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

রংপুর বিভাগের সাথে বৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঝুলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। অথচ পদ্মা সেতু ও রেল সেতু তৈরির জন্য হাসিনা সরকার ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। তিস্তাপাড়ের কোটি মানুষের জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা করতে পারেনি। দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেই বরাদ্দ পুরো রংপুর বিভাগে দেওয়া হয়নি। আমরা বৈষম্যমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই।

কেন্দ্রীয় নেতাদের আলোচনা শেষে ছাত্র-জনতার নানা প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, জাতীয় সংগীত ও জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় রংপুরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও নানা শ্রেণি পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্যান্সার তৈরি হয়েছে : সারজিস আলম

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্যান্সার তৈরি হয়েছে। এটিকে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের নির্মূল করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। এজন্য আমাদের দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, আমাদের ধৈর্য ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক আদর্শ, দলাদলি, মুখোমুখি হওয়ার ট্রেডিশন ও কালচার থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরত থেকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার সাথে মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমাদের ছাত্র-জনতাকে মনে রাখতে হবে আমরা কোনো অথরিটি না। আমরা প্রেসার গ্রুপ। দেশ সংস্কারে আমরা যেসব কাজ করবো, তা যেন আইন মেনে করি। আইনের বাইরে গিয়ে আমাদের কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সব জায়গায় অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বাংলাদেশে কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষ কোটি ডলার বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে। সেইসব পদের জন্য আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন চলেছে। বিগত সময় অনেক দল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হয়নি। সাধারণ মানুষ হাসিনা সরকারের কাছে জিম্মি হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আবু সাঈদ তার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনা ও তার কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো দেশে আছে। তারা আমাদের মাঝে বিভেদ তৈরি করবে। তাই যতদিন পর্যন্ত না দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসছে, ততদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

রংপুর বিভাগের সাথে বৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঝুলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। অথচ পদ্মা সেতু ও রেল সেতু তৈরির জন্য হাসিনা সরকার ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। তিস্তাপাড়ের কোটি মানুষের জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা করতে পারেনি। দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেই বরাদ্দ পুরো রংপুর বিভাগে দেওয়া হয়নি। আমরা বৈষম্যমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই।

কেন্দ্রীয় নেতাদের আলোচনা শেষে ছাত্র-জনতার নানা প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, জাতীয় সংগীত ও জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় রংপুরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও নানা শ্রেণি পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি