ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রামেবি ভিসির নিয়োগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল, ফুলেল শুভেচ্ছা-সাক্ষাৎ

আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

তাদেরকে বর্তমানে পিবিআই কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। তবে কখন এবং কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে সাঈদ পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘গুলি করলে কর’। এ কথা বলে তার দুই হাত প্রসারিত করে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গুলি বর্ষণ করলে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাঈদ। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রিকশায় পরে অটোতে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহামেদের আদালতে এএসআই আমীর আলীকে এক নম্বর এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ২ নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, দুই সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন, আল ইমরান হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম এসআই বিভুতি ভুষন রায়, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাজহাট থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে আদালতকে জানাতে বলা হয়। এরপর মামলাটি রেকর্ড করে আদালতে জানানো হলে তদন্ত করার জন্য পিবিআই রংপুরকে আদেশ দেন।

তাদের গ্রেফতার বিষয়ে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, দুই আসামিকে রংপুর পিবিআই গ্রেফতার করেছে। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

তাদেরকে বর্তমানে পিবিআই কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। তবে কখন এবং কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে সাঈদ পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘গুলি করলে কর’। এ কথা বলে তার দুই হাত প্রসারিত করে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গুলি বর্ষণ করলে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাঈদ। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রিকশায় পরে অটোতে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহামেদের আদালতে এএসআই আমীর আলীকে এক নম্বর এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ২ নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, দুই সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন, আল ইমরান হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম এসআই বিভুতি ভুষন রায়, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাজহাট থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে আদালতকে জানাতে বলা হয়। এরপর মামলাটি রেকর্ড করে আদালতে জানানো হলে তদন্ত করার জন্য পিবিআই রংপুরকে আদেশ দেন।

তাদের গ্রেফতার বিষয়ে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, দুই আসামিকে রংপুর পিবিআই গ্রেফতার করেছে। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি