ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রামেবি ভিসির নিয়োগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল, ফুলেল শুভেচ্ছা-সাক্ষাৎ

রাতভর ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

খ্রীষ্টফার জয়
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তুচ্ছ ঘটনায় রাতভর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রাধ্যক্ষ জানান, ‘গত ১১ মে সংঘর্ষ ও ১৩ মে মধ্যরাতে হলে উদ্ভুত পরিস্থিতি হল প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া হলের অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

হলসূত্রে জানা গেছে, সভায় সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনুপম হিরা মন্ডলকে আহ্বায়ক এবং ড. ফারুক হোসেন ও তানভীর ভূইয়া সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ মে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ ও শাখা ছাত্রলীগেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। রাতভর ককটেল বিস্ফোরণ ও অস্ত্রের মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে সকালে সভাপতি-সম্পাদক প্যানেলের নেতা আতিকুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি ও আজিজুল হক আকাশ সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হলে যান এবং নিয়াজকে তথ্য দেয়ার অভিযোগ তুলে হলের কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। এঘটনায় সেদিনই হল প্রশাসনকে এই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন তিনি। সভায় সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম হিরা মন্ডল বলেন, ‘কর্মচারীর অভিযোগ ও সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন সরাসরি কোন শাস্তি দিতে পারেনি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাতভর ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তুচ্ছ ঘটনায় রাতভর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রাধ্যক্ষ জানান, ‘গত ১১ মে সংঘর্ষ ও ১৩ মে মধ্যরাতে হলে উদ্ভুত পরিস্থিতি হল প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া হলের অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

হলসূত্রে জানা গেছে, সভায় সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনুপম হিরা মন্ডলকে আহ্বায়ক এবং ড. ফারুক হোসেন ও তানভীর ভূইয়া সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ মে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ ও শাখা ছাত্রলীগেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। রাতভর ককটেল বিস্ফোরণ ও অস্ত্রের মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে সকালে সভাপতি-সম্পাদক প্যানেলের নেতা আতিকুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি ও আজিজুল হক আকাশ সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হলে যান এবং নিয়াজকে তথ্য দেয়ার অভিযোগ তুলে হলের কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। এঘটনায় সেদিনই হল প্রশাসনকে এই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন তিনি। সভায় সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম হিরা মন্ডল বলেন, ‘কর্মচারীর অভিযোগ ও সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন সরাসরি কোন শাস্তি দিতে পারেনি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি