ইউপি সদস্যরা ৩০% হারে ২লাখ টাকা পাওয়ার জন্য ৬০হাজার টাকা প্রদান
মসজিদের টাকা আত্মসাৎ’র চেষ্টা ইউপি সদস্য মরিয়মের; সঙ্গি আরো ১২ জন
- আপডেট সময় : ০৩:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মসজিদের নামে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর চেষ্টার অভিযোগ রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার রাইঘাটি ইউনিয়নের মরিয়ম নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি ৬ নং ওয়ার্ডের বড়াইল টাঙ্গন পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন বাবদ জেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে ইউপি সদস্য মরিয়ম এর নামে।
উক্ত মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মরিয়ম জানান, ২লাখ টাকার মধ্যে মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে ৪০ হাজার টাকা দিবো । বাকি এক লাখ ৬০ হাজার টাকা রাই ঘাট ইউনিয়নের ১২ জন মেম্বার এর মধ্যে ভাগ বাটোয়ার করে নিবো ।
কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ১২জন মেম্বার ৫হাজার টাকা করে রাজশাহী জেলা পরিষদের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এডিপি বরাদ্দের গৃহীত সিপিপিসির মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দের বাস্তবায়ন যোগ্য প্রকল্পের তালিকায় বরাইল টাঙ্গন পশ্চিমপাড়া মসজিদের উন্নয়নে জন্য মোসা: সুলতানা পারভীন(রীনা)- (সুপারিশকারী) জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য-০২, রাজশাহীকে ৩০% হারে ২লাখ টাকা পাওয়ার জন্য ৬০হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এই বিষয়ে রীনা’কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোনো টাকা পয়সা হাতে পাইনি। তবে ৬০ হাজার টাকা থেকে কিছু টাকা কম নিলে হতো না এই নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী বললে, তিনি বলেন সমস্যা নাই আমি কিছু টাকা কম রাখবো।
উল্লেখ, ১২জন মেম্বারের থেকে ৫ হাজার করে মোট ৬০ হাজার নেয়া হয় । আর এই ৫ হাজার টাকার জন্য প্রত্যেকে মোট ১৩ হাজার ৩৩৩ টাকা করে ভাগ বাটোয়ারা পাবেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে আলামিন জানতে চাইলে তিনি মরিয়ম বলেন, এটাকা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে একটা টাকাও মসজিদে দেওয়া হবে না বলে জানান আলামিনকে ।
প্রসঙ্গত, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে ৭/৮ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে মরিয়মের বিরুদ্ধে। তবে টাকা নিয়ে অনেকেরই কার্ড করে দিয়েছেন বলে অনেকেই প্রমান দিয়েছেন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)উল্লেখ্য থাকে যে টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না তার কাছে।
রাইঘাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো.বাবলু বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকবে যদি সত্যতা মিলে তবে তারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টা নিয়ে মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ আয়শা সিদ্দিকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি