ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে নবজাতকের মরদেহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে মারা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুলতান (৩৫)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বসুকোট এলাকার বাসিন্দা। গত ৮ বছর ধরে তিনি ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বসবাস করছেন।

সুলতান বলেন, বাচ্চাটি আমার স্ত্রীর পেটে থাকতে মারা গেছে। নার্স মরদেহ ধরাইয়া দিলে কি করব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। হাতে টাকা-পয়সাও ছিল না। বাচ্চা মারা গেছে, তাই শরমে আত্মীয়স্বজন কাউকে কিছু বলি নায়। পরে নিরুপায় হইয়া এদিকে বাচ্চাটা থুইয়া যাই। যদি জানতাম, বাচ্চা ফেলা নিয়া এতকিছু হবে, তাহলে ফেলতাম না। বাসায় নিয়া যেতাম।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রিকশা থেকে নেমে উপাচার্য ভবনের বাইরে থেকে মরদেহটি ছুড়ে মেরে পালিয়ে যান সুলতান। মরদেহটি একটি ব্যাগে ভরা ছিল।

আইনি পদক্ষেপ নিতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল রাইজিংবিডিকে বলেন, যে ব্যক্তি নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে ফেলেছে তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে নবজাতকের মরদেহ

আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে মারা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুলতান (৩৫)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বসুকোট এলাকার বাসিন্দা। গত ৮ বছর ধরে তিনি ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বসবাস করছেন।

সুলতান বলেন, বাচ্চাটি আমার স্ত্রীর পেটে থাকতে মারা গেছে। নার্স মরদেহ ধরাইয়া দিলে কি করব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। হাতে টাকা-পয়সাও ছিল না। বাচ্চা মারা গেছে, তাই শরমে আত্মীয়স্বজন কাউকে কিছু বলি নায়। পরে নিরুপায় হইয়া এদিকে বাচ্চাটা থুইয়া যাই। যদি জানতাম, বাচ্চা ফেলা নিয়া এতকিছু হবে, তাহলে ফেলতাম না। বাসায় নিয়া যেতাম।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রিকশা থেকে নেমে উপাচার্য ভবনের বাইরে থেকে মরদেহটি ছুড়ে মেরে পালিয়ে যান সুলতান। মরদেহটি একটি ব্যাগে ভরা ছিল।

আইনি পদক্ষেপ নিতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল রাইজিংবিডিকে বলেন, যে ব্যক্তি নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে উপাচার্যের বাসভবনের সীমানার ভেতরে ফেলেছে তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি