ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৭জন বাঙ্গালী

খ্রীষ্টফার জয়
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর না হয়েও ৭ শিক্ষার্থী এ কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে বিষয়টি নজরে আসায় তাদের কোটা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা এ তথ্য জানান।

তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন (সংগৃহীত), ফরম পূরণের সময় কোটার অপশনে অনেকে ভুলবশত আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) অপশন পূরণ করে ফেলেছেন। ফলাফল প্রস্তুতের সময় শিক্ষার্থীরা যেভাবে ফরম পূরণ করেন সেভাবেই ফলাফল তৈরি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ওই ৭ শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে পাঁচজন স্বীকার করেছেন ভুলবশত আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) কোটায় টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন। বাকিদেরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের জানিয়ে দিয়েছি এসব শিক্ষার্থীকে যেন ভর্তি করা না হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার এসব আসন সিরিয়াল অনুযায়ী পরে পূরণ করা হবে।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) জনমতে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা।  বিষয়টি নিয়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাস চন্দ্র হেম্ব্রম বলেন, এমন ঘটনা সত্যি খুবই দু:খ জনক। কারণ আদিবাসীরা সবসময় পিছিয়ে । আর তাদের কোটায় এমন ঘটনা ঘটবে সেটি আমি মনে করি পরিকল্পনার অভাব। এটার যদি সুষ্ঠ প্রকৃয়া থাকতো তাহলে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটতো না। আর তারা যদি কোন বাধা ছাড়াই প্রথম অবস্থায় সুযোগ পেত তাহলে তাদের শিক্ষা জীবন তরাণ্বীত হতো।

অপর দিকে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির একজন নেতা ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা আদিবাসীরা সবসময় পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের মেধাক্রমে যারা সুযোগ পাওয়ার কথা তাদের এভাবে সুযোগ অন্য কেউ কেড়ে নিবে সেটা কখনোই কাম্য নয়। প্রশাসন বিষয়টি যদিও বাতিল করেছে তবে এমন ঘটনা এর আগে ২০১৭ সালেও ঘটেছিল ডেন্টাল পরিক্ষায়। আমারা চাই প্রশাসন যেন আরো সচেতন হয়ে আদিবাসীদের পূর্ণসুযোগ দিক।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উপজাতি কোটায় চারজন বাঙালি শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছিলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি বাতিল করে এবং সিরিয়াল অনুযায়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বেছে নেয়।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৭জন বাঙ্গালী

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:


চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর না হয়েও ৭ শিক্ষার্থী এ কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে বিষয়টি নজরে আসায় তাদের কোটা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা এ তথ্য জানান।

তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন (সংগৃহীত), ফরম পূরণের সময় কোটার অপশনে অনেকে ভুলবশত আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) অপশন পূরণ করে ফেলেছেন। ফলাফল প্রস্তুতের সময় শিক্ষার্থীরা যেভাবে ফরম পূরণ করেন সেভাবেই ফলাফল তৈরি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ওই ৭ শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে পাঁচজন স্বীকার করেছেন ভুলবশত আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) কোটায় টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন। বাকিদেরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের জানিয়ে দিয়েছি এসব শিক্ষার্থীকে যেন ভর্তি করা না হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার এসব আসন সিরিয়াল অনুযায়ী পরে পূরণ করা হবে।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) জনমতে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা।  বিষয়টি নিয়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাস চন্দ্র হেম্ব্রম বলেন, এমন ঘটনা সত্যি খুবই দু:খ জনক। কারণ আদিবাসীরা সবসময় পিছিয়ে । আর তাদের কোটায় এমন ঘটনা ঘটবে সেটি আমি মনে করি পরিকল্পনার অভাব। এটার যদি সুষ্ঠ প্রকৃয়া থাকতো তাহলে কিন্তু এমন ঘটনা ঘটতো না। আর তারা যদি কোন বাধা ছাড়াই প্রথম অবস্থায় সুযোগ পেত তাহলে তাদের শিক্ষা জীবন তরাণ্বীত হতো।

অপর দিকে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির একজন নেতা ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা আদিবাসীরা সবসময় পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের মেধাক্রমে যারা সুযোগ পাওয়ার কথা তাদের এভাবে সুযোগ অন্য কেউ কেড়ে নিবে সেটা কখনোই কাম্য নয়। প্রশাসন বিষয়টি যদিও বাতিল করেছে তবে এমন ঘটনা এর আগে ২০১৭ সালেও ঘটেছিল ডেন্টাল পরিক্ষায়। আমারা চাই প্রশাসন যেন আরো সচেতন হয়ে আদিবাসীদের পূর্ণসুযোগ দিক।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উপজাতি কোটায় চারজন বাঙালি শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছিলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি বাতিল করে এবং সিরিয়াল অনুযায়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বেছে নেয়।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি