রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের জানুয়ারী মাসের ফল প্রকাশ
- আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে।
লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
জানুয়ারী মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে রুপজান বেওয়া (৯০) কে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছেলেরা, নগরীতে এক নারী গণধর্ষণের শিকার, নগরীতে হয়রানির শিকার মা আঙ্গুরা ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, নগরীতে এক বৃদ্ধা নারী (৬৫) এর লাশ উদ্ধার, বাগমারায় ঝর্ণা খাতুন (২৪) নামে এক নারী কে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, দুর্গাপুরে এক নারী স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার, বাঘা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারপিট করে আহত, বাঘায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা খাতুন(১৫) আত্মহত্যা, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে ফাহিম মোস্তাসির প্রান্ত নামে এক ছাত্র কে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ, ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
২০২৪, জানুয়ারী মাসের নারী ও শিশু পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরা হলো-
হত্যা: শিশু ০০ জন নারী ০২ জন মোট ০২ জন
আত্বহত্যা: শিশু ০১ জন নারী ০০ জন মোট ০১ জন
গণধর্ষন: শিশু ০০ জন নারী ০১ জন মোট ০১ জন
নির্যাতন: শিশু ০২ জন নারী ০৪ জন মোট ০৬ জন
সর্বমোট: শিশু ০৩ জন নারী ০৭ জন মোট ১০ জন
প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি