তানোরে রাতের আধারে কৃষকের খড়ের পালায় আগুন
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে রাতের আধারে কৃষকের খড়ের পালায় আগুন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় কৃষক খড়ের মালিক মাসুদ রানা বাদি হয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চলতি মাসের(১৪ জানুয়ারি) বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) মোহরগ্রামে ঘটে আগুন লাগার ঘটনাটি।
সাথে সাথে প্রতিবেশিরা খড়ের পালায় পানি দেয়া শুরু করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অবশ্য তার আগে খড়ের পালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে করে কৃষক মাসুদ চরম ভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। মাসুদের বাড়ির নিচে বালাইনাশকের দোকান রয়েছে এবং সারেরও ব্যবসা করেন তিনি। মাসুদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসার কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি।
রাত দুইটার দিকে আমার বড় ভাই প্রসাব করতে বের হলে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়া শুরু করেন। সাথে সাথে প্রতিবেশিরা বের হয়ে পানি দেয়া শুরু করেন এবং ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়া হয়। তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার আগে ৩০/৩২ বিঘা জমির খড়ের পালা পুড়ে যায়।
এতে করে আমার প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মত ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমার সাথে কারো কোন ধরনের দ্বন্দ্ব ফাসাদ নেই, সবার সাথে ভালো সম্পর্ক। কিন্তু কোন দূস্কৃতিকারিরা এধরণের কাজ করলো ভেবে পাচ্ছিনা। আমি কৃষি চাষাবাদের পাশাপাশি কীটনাশক ও সারের ব্যবসা করি। গ্রামের কোন মানুষের সাথে খারাপ সম্পর্ক নেই। আর আমার এতবড় ক্ষতি সাধন করল। আমি কৃষক খড়গুলো গরুকে খাওয়ানো হয় বছরজুড়ে। কিন্তু আগুন দেয়ার কারনে যতটুকু ভালো আছে সে গুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা। কারন প্রতিটি খড়ের আটিতে আগুন ও ধোঁয়ার গন্ধ। শুধু মাত্র জালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
প্রতিবেশী অনেকে জানান, মাসুদ গ্রামের দরিদ্র কৃষক দের যে ভাবে দেখাশোনা করেন এবং যাবতীয় সার কীটনাশক বাকিও দেন। আর তার মত ব্যক্তির খড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মানুষের সাথে মানুষের দ্বন্দ্ব শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে খড়ের কি অপরাধ।
এসব বিক্রিত মানুষের কাজ। তারা মানুষ রুপি অমানুষ বলেই এধরণের কাজ করেছে। দুনিয়ার কেউ হয়তো দেখতে পায়নি, কিন্তু মহান সৃষ্টি কর্তার চোখে সবই ধরা। এদেরকে চিহ্নিত করতে পারলে কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি