ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান রাবিতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় ২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু খাসি নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা ; ৪দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু দুই বছরের মধ্যে বিলীন হবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব : ট্রাম্প ঢাবি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ১৪ প্রস্তাব

অদম্য রাব্বানীর গল্প

মোমেনুননেছা মম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

অদম্য রাব্বানীর গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:


মুখে নেই কোনো ভাষা, নেই শোনার শক্তিও। মনের ভাব প্রকাশ করছেন নিজের চিত্রকর্ম দিয়েই। ছবি আঁকার পাশাপাশি সমানতালে চলছে তার পড়াশোনাও।

 

আঁকাবাঁকা গ্রামীণ মেঠো পথ, ফসলের সবুজ ক্ষেত, দূরের সবুজে ঘেরা গ্রামে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা বিশাল জনসমাবেশে ভাষণরত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এমনই সব দৃশ্য রংতুলিতে ফুটিয়ে তোলেন গোলাম রাব্বানী। জন্ম থেকেই সমাজের আর দশটা ছেলেমেয়ের চেয়ে আলাদা হলেও তিনি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছেন। হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী।

 

তার চিত্রকর্মগুলো এলাকার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিভাগে। ছবি একেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন রাব্বানী।

 

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের সাইদুর রহমান ও সেলিনা বেগমের তৃতীয় সন্তান রাব্বানী।

 

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তরুণ রাব্বানী। মুখের ভাষা ও শোনার ক্ষমতা না থাকলেও ভেতরে রয়েছে বিশেষ শিল্পগুণ।

সেখান থেকেই রং তুলির আঁচড়ে কখনও ফুটিয়ে তুলছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, আবার কখনো বাবা-মায়ের কোল জুড়ে শিশু সন্তান, খেয়া পারাপারসহ আবহমান গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য।

অদম্য ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে নিজেকে স্বক্ষম করে তুলেছেন রাব্বানী। তার আকা ছবি দেখতে প্রতিদিনই ভীড় জমায় এলাকাবাসী।

ছবি আকার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও ভালো করছে রাব্বনী। কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এখন রাজশাহী আর্ট কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে চলছে তার পড়াশোনা।

ছবি এঁকে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বেশ ক’টি পুরস্কার পেয়েছে, সেই সাথে পেয়েছে সম্মাননা স্মারক ও সনদ পত্র। মুখে কথা বলতে না পারলেও তার রংতুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে ওঠে জীবনের নানান টুকরো গল্প।

রাব্বানী প্রতিবন্ধী হলেও নিজ আগ্রহে তার প্রতিভাকে বিকশিত করে চলেছেন। ছবি আঁকায় তার আগ্রহ দেখে বোঝা যায়, সঠিক পরিচর্যা ও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে তিনিও হয়ে উঠতে পারেন চিত্রশিল্পী। হতে পারেন প্রতিবন্ধকতায় হার না মানা হাজারো অদম্য রাব্বানীর অনুপ্রেরণা।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অদম্য রাব্বানীর গল্প

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:


মুখে নেই কোনো ভাষা, নেই শোনার শক্তিও। মনের ভাব প্রকাশ করছেন নিজের চিত্রকর্ম দিয়েই। ছবি আঁকার পাশাপাশি সমানতালে চলছে তার পড়াশোনাও।

 

আঁকাবাঁকা গ্রামীণ মেঠো পথ, ফসলের সবুজ ক্ষেত, দূরের সবুজে ঘেরা গ্রামে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা বিশাল জনসমাবেশে ভাষণরত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এমনই সব দৃশ্য রংতুলিতে ফুটিয়ে তোলেন গোলাম রাব্বানী। জন্ম থেকেই সমাজের আর দশটা ছেলেমেয়ের চেয়ে আলাদা হলেও তিনি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছেন। হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী।

 

তার চিত্রকর্মগুলো এলাকার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিভাগে। ছবি একেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন রাব্বানী।

 

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের সাইদুর রহমান ও সেলিনা বেগমের তৃতীয় সন্তান রাব্বানী।

 

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তরুণ রাব্বানী। মুখের ভাষা ও শোনার ক্ষমতা না থাকলেও ভেতরে রয়েছে বিশেষ শিল্পগুণ।

সেখান থেকেই রং তুলির আঁচড়ে কখনও ফুটিয়ে তুলছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, আবার কখনো বাবা-মায়ের কোল জুড়ে শিশু সন্তান, খেয়া পারাপারসহ আবহমান গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য।

অদম্য ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে নিজেকে স্বক্ষম করে তুলেছেন রাব্বানী। তার আকা ছবি দেখতে প্রতিদিনই ভীড় জমায় এলাকাবাসী।

ছবি আকার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও ভালো করছে রাব্বনী। কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এখন রাজশাহী আর্ট কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে চলছে তার পড়াশোনা।

ছবি এঁকে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বেশ ক’টি পুরস্কার পেয়েছে, সেই সাথে পেয়েছে সম্মাননা স্মারক ও সনদ পত্র। মুখে কথা বলতে না পারলেও তার রংতুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে ওঠে জীবনের নানান টুকরো গল্প।

রাব্বানী প্রতিবন্ধী হলেও নিজ আগ্রহে তার প্রতিভাকে বিকশিত করে চলেছেন। ছবি আঁকায় তার আগ্রহ দেখে বোঝা যায়, সঠিক পরিচর্যা ও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে তিনিও হয়ে উঠতে পারেন চিত্রশিল্পী। হতে পারেন প্রতিবন্ধকতায় হার না মানা হাজারো অদম্য রাব্বানীর অনুপ্রেরণা।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি