ব্রাক অফিসে চলছে চিকিৎসা বাণিজ্য
- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীরর সিরইল কাচাঁ বাজারে পেছেনে ব্রাক অফিসে চলছে চিকিৎসা বাণিজ্য ।
গত কয়েক মাস ধরে এই ব্রাক অফিসে চলছে প্রসূতি নারীদের নিয়ে স্ত্রি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোমার চিকিৎসা বান্যিজ্য। যেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলেছে তাদের অফিসের অপরিচ্ছন্দ অবস্থা ও ভূক্তভোগিদের অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে ব্রাক অফিসে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইতে অফিসে থাকা দায়িত্বরত কর্মচারী বলেন, আমাদের এখানে যারা নারী ঘটিত সমস্যায় ভুগছেন বা গর্ভবতি তারা চিকিৎসা নিতে আসে। আর এখানে কন্ট্রাচুয়ার পদ্ধিতিতে এক বছরের জন্য ডাক্তারদের আনা হয়। তবে আমরা কর্মচারী ডাক্তার আমাদের যা অডার দেন সেই ভাবে আমরা কাজ করি।
এই প্রতিষ্ঠানে যেহেতেু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় সেই ক্ষেত্রে এখানকার পরিবেশ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী জিজ্ঞাসা বাদ করলে তারা বিষয়টি এরিয়ে যায়। একই ভাবে নানা ধরণের ব্যাখ্যা ও তর্কে জড়ায়। পরক্ষণের তারা গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ময়লা আবর্জনা ও ব্যহার্য সুুই সিরিজ ও স্যালাইন লুকায় ফেলে। যেটি নিদিষ্ট যায়গায় রাখার কথা। কিন্তু তারা অপারেশন থিয়েটারে ও যে রুমে ডেলিভারি করানো হয় সেখানে রাখে । এতে করে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হয়।
ভুক্তভোগীর একজন ব্রাকের এডভোকেসি ও স্যোশালচেঞ্জ এর ডিভিসনাল ম্যানেজার ডি এম মোসারফ হোসেন কে কল দিলে তিনি তাৎক্ষণাত ঘটনা স্থলে এসে উপস্থিত হন এবং তিনি নিজেও বিষয়টি দেখে হতাশ হন। তবে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় যেহেতু। তাই লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেন । বিষয়টির সত্ত্বতা মিললে ডাক্তার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনানি নিয়ে স্বরেজমিনে ভুক্তভোগী সাদিয়ার সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, আমার দেড় বছর থেকে মিন্স বন্ধ । সেই নিয়ে ডা. সোমার বর্দ্ধন এর সাথে পরামর্শ নেই। পরে ডাক্তার আমাকে বেশ অনেকগুলো টেস্ট দেন। আমি টাকা খরচ করে টেস্ট করলাম ব্রাকে । পরে রিপোর্ট দেখে তিনি বলেন, আমার জরায়ুতে ইনফেকশন হয়েছে। পরে আমার স্বামী আমাকে অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেইলরে দেখান । যেখানে আমানা হসপিটালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিপ্লবী’কে দেখান এবং বলেন আমার কোন সমস্যা নেই।
পরি রিপোর্ট এর বিষয়টি ব্রাকের গাইনী ডাক্তার সোমা বর্দ্ধনকে দেখানো হয়। পরে তিনি বলেন বাইরের রিপোর্ট ভুল । সেই সাথে তিনি কম্পিউটার করা রিপোর্ট কেটে সেখানে হাতে লিখে সমস্যা দেখান। এভাবে আমাদের এলাকায় অনেক মেয়েদের ভুল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। আমারা পরবর্তীতে তার কাছে আসলে তিনি আর এখানে আসেন না বলে কর্মচারীগণ বলেন। আমরা নিরাপত্তা চাই সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা চাই।
ডাক্তার সোমা বর্দ্ধনের সাথে বিষয়টির সত্যত্বা যাচাইয়ে তার চেম্বার পিপল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে তার সন্ধান মেলেনি এবং মুঠো ফোন কর দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
ঘটনাটিকে নিয়ে বর্তমানে স্থানী মহল বেশ চাঞ্চলের সৃস্টি হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ব্রাকে এমন দূর্নীতি অনিয়ম সত্যি লজ্জা জনক । এত করে প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং জনগণের যে আস্তা ব্রাক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সেটি নষ্ট হচ্ছে বলে অনেক সচেতন মহলদাবী করে।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি