ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি- নির্যাতনের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৩:০০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী চারঘাট শলুয়া ইউনিয়ন এলাকায় প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে আবু বক্করের ছেলে নূর মোহাম্মদ পলক(২০) কে কানাজগাড়ি মোড় থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ মুখ বেঁধে বামন দীঘির বিল নামের একটি বিলে নিয়ে গিয়ে যায় শলুয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুরের ছেলে মোঃ আব্দুর ওয়াদুদ শুভ, আনজুর আলীর ছেলে মুক্তার,সইমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন, রমজানের ছেলে লালনের নামে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জানা যায় মুক্তার ও তার মা মতিয়া মাদক সাম্রাজ্যের গডফাদার। তাদের নেতৃত্বে শলুয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল। এছাড়াও মুক্তা মার্ডার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। মুক্তার মা মতিয়া ও মুক্তা একসাথে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী জীবন পার করে এসেছেন।
তবে এবার শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর ওয়াদুদ শুভোর নেতৃত্বে নূর মোহাম্মদ পলক কে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে তাকে মারধর করার পরে ২ লাখ টাকার দাবি করেন এবং ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর ওয়াদুদ শুভর ফেনসিডিল খাওয়ার ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। যদিও তার ফেনসিডিল খাওয়ার ভিডিও পলকের কাছে নেই।
এছাড়াও বিএনপি থেকে উঠে আসা কিশোর গ্যাং এর অন্যতম গডফাদার আনজুর আলীর ছেলে মুক্তার এখন ছাত্রলীগ সভাপতি শুভর নেতৃত্বে একাধিক কিশোর গ্যাং দ্বারা মাড়িয়া চামটা এলাকাসহ শলুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।
এছাড়াও শলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈকত আলীর ছেলে শাকিল রহমানকে একই ভাবে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি ভাবে মারতে থাকলে এক পর্যায়ে তার বাম হাত ভেঙে যায়।
তাদের এমন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শলুয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকার অনেকেই,এবং এবিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এবং কোন ভুক্তভোগী ব্যক্তি যদি থানায় তাদের নামে মামলা করতে যায় তাহলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী দুই জন নূর মোহাম্মদ পলক(১৮) ও শাকিল রহমান (২০) এ সকল ছাত্রলীগ নেতা শুভসহ মুক্তার,সাব্বির হোসেন,লালনের মতো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
তারা আরও বলেন এসকল অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তাদেরকে দিচ্ছে কারা এটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর খতিয়ে দেখা উচিত।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর ওয়াদুদ শুভ পুরো বিষয় অস্বীকার করে বলেন,আমি তাদের চিনি না আপনারা ফোনে কথা না বলে আমার সামনাসামনি এসে কথা বললে ভালো হয় বলে ফোন কেটে দেয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন,
এবিষয়ে আপনারা তদন্ত করেন,আমাদের কিছু বলার নাই। আপনারা আপনাদের মতন কাজ করেন আমরা আমাদের মতন দেখছি। তবে তাদের নামে ছয় থেকে সাতটি মামলা রয়েছে এবং আমরা তাদের গ্রেফতারও করেছি। আর
এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি