ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমন জয়ের পিছনে কারা বললেন তামিম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

এমন জয়ের পিছনে কারা বললেন তামিম

নিউজ ডেস্ক:


ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে শুক্রবার (১২ মে) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আইরিশরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারের ম্যাচে ৪৪ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দলের জয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত।

ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘মাঠের দৈর্ঘ্য-প্রস্ত আজ কিছুটা ভালো ছিল। নাজমুল শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে খুব খুবই খুশি। হৃদয় যেভাবে ব্যাট করছে তাতে আমি সত্যিই আনন্দিত। শুধু এখানে নয় দেশেও সে ভালো করেছে। অনেক দূরে যাওয়ার বাকি তার।’

তামিম আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের যেখানেই খেলি না কেন সমর্থনটা অবিশ্বাস্য। ২০১৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের কথা মনে আছে, আমাদের সমর্থকরা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দর্শকদের পাত্তা দেয়নি। তাদের উৎসাহ বড় ভূমিকা রেখে আসছে।’

এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার ভেতরে ঢোকা এক বল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, শূন্য রানে ফিরতে হয় স্টার্লিংকে। হাসান মাহমুদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় সাফল্যও।

এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার পয়েন্ট অঞ্চলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।

৫৭ বলে ৪২ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।

তাতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। তাইজুলের ৩৭তম ওভার থেকে ১৬, শরিফুলের করা পরের ওভারে আসে ২৪ রান। প্রতি ওভারেই ১০ এর বেশি করে রান নিতে থাকে ডকরেল-টেক্টর জুটি। তাদের দু’জনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।

তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল রবিবার।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এমন জয়ের পিছনে কারা বললেন তামিম

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

নিউজ ডেস্ক:


ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে শুক্রবার (১২ মে) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আইরিশরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারের ম্যাচে ৪৪ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দলের জয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত।

ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘মাঠের দৈর্ঘ্য-প্রস্ত আজ কিছুটা ভালো ছিল। নাজমুল শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে খুব খুবই খুশি। হৃদয় যেভাবে ব্যাট করছে তাতে আমি সত্যিই আনন্দিত। শুধু এখানে নয় দেশেও সে ভালো করেছে। অনেক দূরে যাওয়ার বাকি তার।’

তামিম আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের যেখানেই খেলি না কেন সমর্থনটা অবিশ্বাস্য। ২০১৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের কথা মনে আছে, আমাদের সমর্থকরা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দর্শকদের পাত্তা দেয়নি। তাদের উৎসাহ বড় ভূমিকা রেখে আসছে।’

এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার ভেতরে ঢোকা এক বল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, শূন্য রানে ফিরতে হয় স্টার্লিংকে। হাসান মাহমুদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় সাফল্যও।

এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার পয়েন্ট অঞ্চলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।

৫৭ বলে ৪২ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।

তাতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। তাইজুলের ৩৭তম ওভার থেকে ১৬, শরিফুলের করা পরের ওভারে আসে ২৪ রান। প্রতি ওভারেই ১০ এর বেশি করে রান নিতে থাকে ডকরেল-টেক্টর জুটি। তাদের দু’জনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।

তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল রবিবার।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি