ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী কলেজে বহিরাগত প্রবেশ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ: পুলিশে সোপর্দ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: প্রফেসর ড. এস. কে. আকরাম আলী রাজশাহীতে ডিবির অভিযানে ১০০ গ্রাম হেরোইন-সহ গ্রেফতার ১ পুঠিয়ায় বিএনপির নেতার লিফটের বিতরণ নওহাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈঠক ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশে ‘কারবালা’ তৈরি করেছে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি জুমার পর গণঅনশনে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ঐক্য সমাবেশে অংশ নেবেন সাবেকরা অবহেলিত নায়কেরা: ক্ষুদ্রঋণ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট ও করণীয় সাম্য হত্যার প্রতিবাদে রাবি ছাত্র দলের অবস্থান কর্মসূচি পালন

৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে রাজশাহীতেআম বেজাকেনা

খ্রীষ্টফার জয়
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে রাজশাহীতেআম বেজাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী অঞ্চলের আম আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে। এদিন থেকে গুটি আম কেনা-বেচা করা যাবে।

গত বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজারে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ ৪ মে গুটি আম নামানো যাবে। গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানিপছন্দ ২০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি ২৫ মে থেকে নামিয়ে হাটে তুলতে পারবেন বাগান মালিক ও চাষিরা। এছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে। ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম এবং ২০ আগস্ট ইলামতি আম নামানো যাবে। আর কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাজারে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবারও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে যদি কোনো মালিকের আম পেকে যায়, তাহলে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বাজারে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আম নামানোর নির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে হবে সবাইকে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আনিসুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর রাজশাহীর ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিল। আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে রাজশাহীতেআম বেজাকেনা

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী অঞ্চলের আম আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে। এদিন থেকে গুটি আম কেনা-বেচা করা যাবে।

গত বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজারে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ ৪ মে গুটি আম নামানো যাবে। গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানিপছন্দ ২০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি ২৫ মে থেকে নামিয়ে হাটে তুলতে পারবেন বাগান মালিক ও চাষিরা। এছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে। ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম এবং ২০ আগস্ট ইলামতি আম নামানো যাবে। আর কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাজারে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবারও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে যদি কোনো মালিকের আম পেকে যায়, তাহলে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বাজারে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আম নামানোর নির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে হবে সবাইকে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আনিসুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর রাজশাহীর ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিল। আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গনিউজবিডি/জে.সি