ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যখন উপজেলা প্রশাসন ঠিক তখন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন

প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কার্যকর ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যখন উপজেলা প্রশাসন ঠিক তখন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। অতিদ্রুত ওই পুকুর খননের কাজ বন্ধ না হলে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

এদিকে, কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে যুবদলের এক নেতা কৃষকদের জমি দখল করে পুকুর তৈরি করছে। অনেক কৃষকই জমি দিতে চান না, তাদের ক্ষেত্রেও জোরপূর্বক পুকুর খননের ঘটনা ঘটছে।

তবে, উপজেলা প্রশাসন ওই পুকুর খনন বন্ধে মামলা করেন। তবুও খনন কাজ বন্ধ করেনি ওই প্রভাবশালী যুবদল নেতা। মামলার পরে স্থানীয় কৃষকদের বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ভয়ভীতি দেখিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ।

এদিকে, পুকুর খনন কাজ বন্ধে মামলা করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ বলেও অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়নগর ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া বিলে প্রায় ৬০থেকে ৭০ বিঘা কৃষি জমি পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, এসব জমিতে আগে প্রচুর ফসল হতো, যা এখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জমি হারিয়ে কৃষকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তেমনি জলাবদ্ধতাও বাড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের আলো থেকে শুরু করে রাতের অন্ধকারেও অবৈধভাবে চলছে পুকুর খননের কাজ। প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, আর কৃষকরা হচ্ছেন নিঃস্ব।

এমনকি অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ কৃষকরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তবুও উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানানো হলেও অবৈধ পুকুর খননের কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, “ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পেলে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। নারিকেলবাড়িয়াতে কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয় এবং মামলা করা হয়। তবে শুনেছি সে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধুমাত্র অভিযান পরিচালনা করলেই হবে না, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবৈধভাবে ফসলি জমি ধ্বংস করার সাহস না পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যখন উপজেলা প্রশাসন ঠিক তখন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন

প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কার্যকর ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

দুর্গাপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যখন উপজেলা প্রশাসন ঠিক তখন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। অতিদ্রুত ওই পুকুর খননের কাজ বন্ধ না হলে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

এদিকে, কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে যুবদলের এক নেতা কৃষকদের জমি দখল করে পুকুর তৈরি করছে। অনেক কৃষকই জমি দিতে চান না, তাদের ক্ষেত্রেও জোরপূর্বক পুকুর খননের ঘটনা ঘটছে।

তবে, উপজেলা প্রশাসন ওই পুকুর খনন বন্ধে মামলা করেন। তবুও খনন কাজ বন্ধ করেনি ওই প্রভাবশালী যুবদল নেতা। মামলার পরে স্থানীয় কৃষকদের বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ভয়ভীতি দেখিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ।

এদিকে, পুকুর খনন কাজ বন্ধে মামলা করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ বলেও অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়নগর ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া বিলে প্রায় ৬০থেকে ৭০ বিঘা কৃষি জমি পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, এসব জমিতে আগে প্রচুর ফসল হতো, যা এখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জমি হারিয়ে কৃষকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তেমনি জলাবদ্ধতাও বাড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের আলো থেকে শুরু করে রাতের অন্ধকারেও অবৈধভাবে চলছে পুকুর খননের কাজ। প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, আর কৃষকরা হচ্ছেন নিঃস্ব।

এমনকি অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ কৃষকরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তবুও উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানানো হলেও অবৈধ পুকুর খননের কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, “ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পেলে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। নারিকেলবাড়িয়াতে কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয় এবং মামলা করা হয়। তবে শুনেছি সে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধুমাত্র অভিযান পরিচালনা করলেই হবে না, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবৈধভাবে ফসলি জমি ধ্বংস করার সাহস না পায়।