৪১ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি চিনির গুদামের আগুন

- আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তীরে এস আলম গ্রুপের অপরিশোধিত চিনির গুদামের আগুন ৪১ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার আগে আগে কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের চারটি গুদামের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, ‘‘চিনি কারখানার গুদামে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। গুদামটি প্রায় ২৫,০০০ বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। এখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এ চিনিগুলো জ্বলছে। এ কারণে আগুন নেভাতে সময় লাগছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। এখান থেকে আগুন আর ছড়াবে না। আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছি আমরা।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের ধার্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, ‘‘একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবটুকুই পুড়ে গেছে। যার বাজারমূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।
আগুন লাগার পর ওই কারখানায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এবং চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
আগুনের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মালেক মুত্তাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নগর পুলিশ, স্থানীয় ইউএনওসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে কমিটিতে।
প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি