ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডা. সাদীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভাইরাল সেই বিএনপি নেতা লিয়াকতকে দল থেকে বহিষ্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের পথে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই ঋত্বিক প্রেমিদের তার স্মৃতিবিজরিত বসতভিটার অংশটুকু সংরক্ষণের দাবি বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বৈরাচারের দোসরদের নয়, জুলাই বিপ্লবে সহায়তাকারী রুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি চাই’ বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আসাদুজ্জামান

শবে বরাতকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:


পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে কেজিতে ৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগিতে কেজি প্রতি ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, রোজার মাস শুরু আগেই মাংসের দাম আরও বাড়বে। রোজা শুরু হচ্ছে আর কিছু দিন বাকি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার আগেই বাজার চড়া হলেও সরকারি সংস্থাগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। প্রতি বছরেই এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এভাবে সব ধরনের খাবারের পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে মধ্যবিত্তের জীবন চালিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা।

নির্বাচনের আগে বেশ ঘটা করে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু নির্বাচনের পরেই অস্থির হতে শুরু করে মাসের বাজার। শবে বরাতকে সামনে রেখে ওখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে।

দাম বেড়েছে খাসির মাংসেরও প্রতি কেজি বিক্রি ১,১০০ টাকা। কোথাও কোথাও এর চেয়ে আরও অনেক বেশি। আর বাজারের তুলনায় রাজধানীর সুপারশপগুলোতে মাংসের দাম আরও অনেক বেশি। বরাবরের মতো খুচরা বিক্রেতা দুষছেন হাটের ব্যাপারীদের। আর সাধারণ মানুষের আক্ষেপ তদারিক না থাকার।

গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, শবে বরাত, রোজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছে। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে। এ চক্রের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে না পারলে প্রতি বছরই একটি চিত্র দেখা যাবে।

গরুর মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে মানুষ স্বস্তিতে নেই। মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।

কেবল গরু বা খাসির মাংসই নয়, দাম বেড়েছে নিম্নবিত্তের ভরসা ব্রয়লার মুগিরও। দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শবিবার বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। দুদিন আগে যা ছিলো ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শতক পেরিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একইসঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। শীতকালীন প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।

ক্রেতারা বলছেন, ঈদ বা রমজান অথবা শবে বরাত হোক- চাহিদা বাড়ালে। দাম বাড়ে। আর দাম বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগও থাকে না। তাই সীমিত আয়ের মানুষেরা কেনার পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন। নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে দায়সারা ও লোক দেখনো বলছেন ক্রেতারা।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শবে বরাতকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০১:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:


পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে কেজিতে ৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগিতে কেজি প্রতি ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, রোজার মাস শুরু আগেই মাংসের দাম আরও বাড়বে। রোজা শুরু হচ্ছে আর কিছু দিন বাকি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার আগেই বাজার চড়া হলেও সরকারি সংস্থাগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। প্রতি বছরেই এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এভাবে সব ধরনের খাবারের পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে মধ্যবিত্তের জীবন চালিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা।

নির্বাচনের আগে বেশ ঘটা করে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু নির্বাচনের পরেই অস্থির হতে শুরু করে মাসের বাজার। শবে বরাতকে সামনে রেখে ওখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে।

দাম বেড়েছে খাসির মাংসেরও প্রতি কেজি বিক্রি ১,১০০ টাকা। কোথাও কোথাও এর চেয়ে আরও অনেক বেশি। আর বাজারের তুলনায় রাজধানীর সুপারশপগুলোতে মাংসের দাম আরও অনেক বেশি। বরাবরের মতো খুচরা বিক্রেতা দুষছেন হাটের ব্যাপারীদের। আর সাধারণ মানুষের আক্ষেপ তদারিক না থাকার।

গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, শবে বরাত, রোজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছে। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে। এ চক্রের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে না পারলে প্রতি বছরই একটি চিত্র দেখা যাবে।

গরুর মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে মানুষ স্বস্তিতে নেই। মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।

কেবল গরু বা খাসির মাংসই নয়, দাম বেড়েছে নিম্নবিত্তের ভরসা ব্রয়লার মুগিরও। দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শবিবার বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। দুদিন আগে যা ছিলো ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শতক পেরিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একইসঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। শীতকালীন প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।

ক্রেতারা বলছেন, ঈদ বা রমজান অথবা শবে বরাত হোক- চাহিদা বাড়ালে। দাম বাড়ে। আর দাম বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগও থাকে না। তাই সীমিত আয়ের মানুষেরা কেনার পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন। নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে দায়সারা ও লোক দেখনো বলছেন ক্রেতারা।


প্রসঙ্গনিউজ২৪/জে.সি