আমাদের শহরের একটা দু’তলা কার্নিস

- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
আমাদের শহরের একটা দুতলা কার্নিসের জানালা ছিল,
যেখানে প্রতিদিন সূর্যের মিস্টি আলো আর বিকেলের বয়ে যাওয়া সিগ্ধ বাতাসের খেলা ছিল
ওই যে জানালা, যাকে ঘিরে হতো লুকোচুরি খেলা, ২মিনিটের চোখের দেখা আর অপেক্ষার প্রহর গুনা,
২৪৬.৯ কি:মি পথের দূরত্বের ওই শহরের কার্নিস জোড়া জানালায় এখনো চুপিসারে দোল খেলে যায় পুরোনো স্মৃতিরা
২০২০ এর জানালা, ফেলে আসা সেই স্মৃতি, আজ গুটি গুটি পায়ে, এতটা পথ অতিক্রম করে, কড়া নাড়ছে আমার শহরের দরজায়
হ্যাঁ আজ ৪ বছর পর চা এর ছোট্ট কাপেই জমে ছিল আড্ডা।
সন্ধ্যার লেমপোস্ট দাড়ানো রাস্তা অতিক্রম করে বাদাম এর খোশা ছাড়িয়ে অবশ্য মিললো পুরোনো সেই মূহূর্তের দেখা,
সুন্দর ছিল এই সময় এই সন্ধ্যার আড্ডা,
বছর চারেক পর সেই কবিতার মতো, পুরোনো অতিথির সাথে দেখা,
যে এক সময় আমার শহরে বিচরণ করছিলো না লেখা শত গল্প নিয়ে,
হ্যাঁ দেখাটা অনেক সময় পর , তবে বুঝলাম সময়ের তালে কেবল বেড়েছে শুধু বয়সের সংখ্যাগুলো,
চুলে পাক ধরেনি কারো , কেউ চোখের মায়াকে বন্দি করিনি মোটা ফ্রেমের চশমায়।
খুব বেশি বদলে যাইনি কেউ, আগের মতোই পুরোনো সভাব পুরোনো বায়না যেন অপরিবর্তনশীল সভাব হয়ে রয়ে গেছে।
কেবল জীবনের তাগিদে যতটুকু ম্যাচুরিটি না আসলেই নয়, তার থেকে কিছুটা ম্যাচুরিটি এসেছে আমাদের মাঝে।
আজও সেই ফুল ভালোবেসে ছোট ব্যাগের চেইনটাতে যত্ন করে রেখে দিতে ভুল করে না।
আমারা বলি মানুষ পরিবর্তনশীল, তবে সময়ের ও পরিস্থিতির থেকে বেশি নয়।
সেই চন্দ্রিমা উদ্দানকে বরণ করে নেয়া দাড়িয়ে থেকে কৃষ্ণচুড়া গাছ গুলো যেমন বার বার ফিরে আসে তার লাল আভা নিয়ে,
তেমন মানুষের কিছু সভাবও ফিরে আসে তার জীবনের ও বয়সের প্রতিটা সংখ্যার মাঝে।
আসলে সেগুলো অপরিবর্তনশীল, সেগুলোই মানুষের মায়া রুপ, সেইগুলোই মানুষকে বাঁচিয় রাখে হাজার বছর ধরে।
লেখক: মারিয়া গমেজ